কুড়িগ্রামের রৌমারী শাপলা চত্বর থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির রাস্তা ধরে খাঁটিয়ামারী পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পাকা সড়কটি জিঞ্জিরাম নদীতে গিয়ে শেষ হয়েছে। সড়কটিতে সবুজপাড়ার (মাঝিপাড়া) আলমের বাড়িসংলগ্ন সøুইসগেটের বাঁশের এ সাঁকো হয়ে প্রতিদিন সুতারপাড়, চর বামনেরচর, বেহুলার চর, মোল্লার চর, রতনপুর, খাঁটিয়ামারীÑ ছয়টি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে, পয়সা খরচ করে পারাপার হন। এ জন্য ভ্যানপ্রতি ১০ টাকা, জনপ্রতি ২ টাকা করে গুনতে হয় প্রতিদিন। বাধ্য হয়ে ভারী মালবাহী ট্রাক, ট্রলি বিকল্প সড়ক হিসেবে তুরা রোড ব্যবহার করে থাকে। এতে আরও বেশি ভাড়া গুনতে হয়। সংস্কারের অভাবে পুরো সড়কটি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তা ভেঙে সরু হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আর ২ মাস পরেই বন্যা; কিন্তু রাস্তাটি সংস্কার কিংবা সøুইসগেটের স্থানটিতে ব্রিজ নির্মাণে আজও কোনো প্রকল্প গৃহীত হলো না।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন, এ এলাকায় মন্ত্রী আছেন, এমপি আছেন, উপজেলা-ইউপি চেয়ারম্যান আছেন, মেম্বার আছেন, সাংবাদিক আছেন। তারপরও এ সড়কটির বেহাল দশা কেন; আপনাদের নজরে পড়ে না, তা এলাকাবাসীর বোধগম্য নয়।
অনতিবিলম্বে সাঁকোটির টোল আদায় বন্ধ করে বিনা পয়সায় এলাকাবাসীর পারাপারের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আসন্ন বন্যার আগেই সড়কটি সংস্কার ও ব্রিজ নির্মাণে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।