আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৩-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ভেনেজুয়েলা সংকট

বিক্ষোভে উত্তাল কারাকাস

আলোকিত ডেস্ক
| আন্তর্জাতিক

ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে বুধবার সরকারবিরোধীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও জলকামান নিক্ষেপ করে সেনাবাহিনী। সংঘর্ষে মাথায় গুলি লেগে ২৭ বছর বয়সি  এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এক টুইটার বার্তায় বেসরকারি সংস্থা ভেনিজুয়েলান অবজারভেটরি অব সোশ্যাল কনফ্লিক্ট বলেছে, আমরা জুরুবিথ রাউসিওর হত্যার নিন্দা জানাচ্ছি। এ নারী সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এদিকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে চাপে ফেলতে ধর্মঘট চালাতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিরোধীদলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। বুধবার রাজধানী কারাকাসে সরকার এবং বিরোধী সমর্থকরা পাল্টপাল্টি সমাবেশ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে এই সমাবেশ শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে তা সহিংস হয়ে ওঠে। পরে রাজধানী থেকে বন্দুকের গুলির শব্দ শোনা যায়। স্থানীয় একটি এনজিও ভেনেজুয়েলান অবজারবেটরি অব সোস্যাল কনফ্লিক্ট জানিয়েছে, বিরোধীদের শক্ত অবস্থান আলতামিরায় এক মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে জুরুবিথ রাউসিও নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষে আরও কমপক্ষে ৪৬ জন আহত হয়েছে।

গত জানুয়ারিতে নিজেকে ভেনেজুয়েলার ‘অন্তর্র্বতী প্রেসিডেন্ট’ বলে ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা ও পার্লামেন্ট প্রধান গুইদো। ভেনেজুয়েলার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে গুইদোকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ব্রিটেন, অস্ট্রিয়া, সুইডেন এবং ডেনমার্কসহ বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশ। অপরদিকে নিজেকে ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দাবি করে আসছেন মাদুরো। রাশিয়া, চীন, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশ ভেনেজুয়েলার বামপন্থি নেতা মাদুরোর প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছে। ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত মাদুরোর প্রতিই অনুগত আছে। মার্কিন সমর্থন পাওয়ার পর থেকে গুইদোর সঙ্গে মাদুরোর ক্ষমতার দ্বন্দ্ব তীব্রতর হয়ে উঠেছে। এদিকে ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণ হচ্ছে। ওপেক সদস্য দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য দেশ দুটি একে অপরকে দায়ী করেছে। বিবিসি