বাঙলা নাট্যদল সাহিত্য ও মনস্তাত্ত্বিকনির্ভর গল্প নিয়ে ১৫তম প্রযোজনা নতুন নাটক ‘মেঘ’ মঞ্চে নিয়ে এলো। আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় ‘মেঘ’ নাটকের প্রদর্শনী করবে বাঙলা নাট্যদল। উৎপল দত্তের রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন হ ম সহিদুজ্জামান। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আবিদ আহমেদ, সুবর্ণা মীর, সেলিম বহুরূপী, সৈয়দ গোলাম মুর্তুজা, হ ম সহিদুজ্জামান, নাসির আহমেদ দুর্জয়, লিটন খান ও আফসানা আক্তার যূথী। দলের সাধারণ সম্পাদক ও নির্দেশক হ ম সহিদুজ্জামান জানান, দর্শকের চাহিদা অনুযায়ী জনপ্রিয় লেখক উৎপল দত্তের সাহিত্যনির্ভর গল্প মেঘ নাটকটি মঞ্চে এনেছি। দর্শক নাটকটি এরই মধ্যে দারুণভাবে উপভোগ করেছে এবং বেশ সাড়াও পেয়েছি। আশাকরি নাটকটি দর্শকনন্দিত হবে। নাটকের গল্পে দেখা যায়, শমরেস স্যানাল কলকাতা শহরের একজন নামকরা সাহিত্যিক। সদ্য সিজোফ্রেনিয়া থেকে সেরে উঠেছেন। তার সাহিত্যের লেখনীর মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন মাধুরী। তারা বিয়ে করেন। কিন্তু অসুস্থ শমরেসকে সুস্থতার জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন মাধুরী। বন্ধুসম ডাক্তারের বারবার নিষেধ সত্ত্বেও জটিল ও মনস্তাত্ত্বিক রহস্যময় লেখার মাঝেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেন শমরেস। অনিদ্রা ও মানসিক চাপে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্যদিকে শমরেসের কলেজ জীবনের প্রেমিকা সুজাতা এসে হঠাৎ উপস্থিত হয়। পুরোনো প্রেম এবং তাদের একান্ত ঘনিষ্ঠতার অনেক চিহ্ন দেখিয়ে শমরেসকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ দাবি করে বসে সুজাতা। উপায়ন্ত না দেখে সুজাতাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন শমরেস। এদিকে সুজাতাকে খুঁজতে আবার পুলিশ অফিসার যতীন নন্দী হাজির হয় শমরেসের বাড়ি। তীক্ষè বুদ্ধিসম্পন্ন পুলিশ অফিসারের কৌশলী প্রশ্নে এবং ছোটখাটো ক্লুতে ধরা পড়ে ঘটনাটি আরও রহস্যময় করে তোলেন শমরেস। আর এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প। মঞ্চ নির্মাণে আবিদ আহমেদ, শব্দ ও আলোক পরিকল্পনায় রয়েছেন নাসির আহমেদ দুর্জয় এবং প্রক্ষেপণে রয়েছেন মিজান রহমান।
