আয়ারল্যান্ড যাত্রার আগে বিমানবন্দরে বুধবার সাব্বিরের ক্যামেরায় সেলফি
ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ
৫ মে : আয়ারল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৭ মে : বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৯ মে : আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ
১১ মে : আয়ারল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৩ মে : বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৫ মে : আয়ারল্যান্ড-বাংলাদেশ
১৭ মে : ফাইনাল
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ নিজেদের ঝালাই করার জন্য আয়ারল্যান্ডে স্বাগতিক ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সঙ্গে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। এরই মধ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে আয়ারল্যান্ডে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ সময় রাত ২টার দিকে ডাবলিনে পৌঁছান মাশরাফিরা। বিমানবন্দর থেকে সোজা হোটেলে চলে যায় টিম বাংলাদেশ। তবে সাকিব পরিবার নিয়ে যাবেন সন্ধ্যার ফ্লাইটে। আজই অনুশীলন করার কথা রয়েছে টাইগারদের। এদিকে ৫ মে ত্রিদেশীয় সিরিজ সামনে রেখে গতকালই আয়ারল্যান্ড পৌঁছেছে সিরিজের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী উইন্ডিজ। ৫ থেকে ১৭ মে চলবে আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশ ও উইন্ডিজের ত্রিদেশীয় সিরিজ। সিরিজে ৭ মে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টাইগাররা লড়বে উইন্ডিজের বিপক্ষে। ত্রিদেশীয় সিরিজের পরই বিশ্বকাপ খেলতে ইংল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ দল। এর আগে বিশ্বকাপ ও ত্রিদেশীয় সিরিজ সামনে রেখে ২২ এপ্রিল শুরু হয় টাইগারদের অনুশীলন। নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। ২০০৩ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলেন মাশরাফি। ২০০৭ সালে মাশরাফির হাত ধরেই বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে মাশরাফির নেতৃত্বে দল গিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। এবার নড়াইল এক্সপ্রেস ইংল্যান্ডে খেলতে যাচ্ছেন নিজের শেষ বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের পাশাপাশি রাজনীতিতে জড়ানো মাশরাফি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এটাই যে তার শেষ বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট, তা নিশ্চিত করেছেন। এবার শিরোপা জয় করতে চান মাশরাফি। দেশকে দিতে চান বিশ্বকাপের মুকুট। কিন্তু এখনই সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটছেন না অধিনায়ক। প্রথমে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো করতে চান। এরপর ধাপে ধাপে এগোতে চান বিশ্বকাপের মঞ্চে। সাকিব পরিবার নিয়ে যাবেন সন্ধ্যার ফ্লাইটে। পরশু ৩৯ মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি দলের লক্ষ্য, নিজেদের চাওয়া-পাওয়া, পরিকল্পনা, শক্তির জায়গা, দুর্বলতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন। বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সামনে এসেছিলেন অধিনায়ক। তবে খেলা নিয়ে তেমন কিছুই বলেননি। যাওয়ার বেলায় দেশবাসীকে পাশে থাকতে, ভরসা রাখতে অনুরোধ করেছেন। বাংলাদেশ দল যাচ্ছে বিশ্বকাপ খেলতে। সবাই দোয়া করবেন। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন। সবাই আমাদের পাশে থেকে সমর্থন দেবেন। ইনশাআল্লাহ, আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। ভালো ফলের প্রত্যাশায় আছি। আপনাদের দোয়া, সমর্থন নিয়েই আমরা এগিয়ে যাবে’, বলেন মাশরাফি। তার শেষ বিশ্বকাপ। ২০০৩ সালে যাত্রা শুরু করা মাশরাফি থামছেন ২০১৯ বিশ্বকাপে। বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি দুটি বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করতে যাচ্ছেন। বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া মাশরাফি এবার ৯ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে ছাড়িয়ে যাবেন হাবিবুল বাশার সুমনকে। বাশার ২০০৭ সালে বাংলাদেশকে ৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মাশরাফি উঠে যাবেন সবার ওপরে। বাশার, খালেদ মাসুদ, আমিনুল, সাকিব কেউই বাংলাদেশকে শিরোপা দিতে পারেননি। মাশরাফি কি পারবেন? সময় জানিয়ে দেবে সেই উত্তর।