মাহে রমজানের চূড়ান্ত প্রস্তুতির মাস শাবান শেষের পথে। রমজানের শুরু কখন থেকে হচ্ছে, তা বোঝার জন্য শাবান মাসের হিসাব রাখার কোনো বিকল্প নেই। রাসুল (সা.) নিজেও এ মাসে খুব সতর্কতার সঙ্গে চাঁদের হিসাব রাখতেন। অন্যদেরও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন। তাই রমজানের আগে শাবানের শেষ আমল হলো, মাসটির ক্ষণ গণনা করা।
শাবান মাসের হিসাবে খুব সতর্কতা অবলম্বন : আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসের খুব হিসাব করতেন। এছাড়া অন্য কোনো মাস এত হিসাব করতেন না। অতঃপর রমজানের চাঁদ দেখে রোজা রাখতেন। যদি মেঘলার কারণে চাঁদ গোপন থাকত; তবে শাবান মাস ৩০ দিনে গণনা করতেন, অতঃপর রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ : ২৩২৭)।
রমজানের দু-একদিন আগে রোজা না রাখা : রমজানের প্র্রস্তুতির মধ্যে এটিও একটি বিষয় যে, রমজানের মর্যাদা রক্ষায় তার দুই-একদিন আগে রোজা না রাখা। রাসুল (সা.) রমজানের দু-একদিন আগ থেকে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। তবে যদি কেউ আগে থেকে রোজা রাখতে অভ্যস্ত হয় তার ব্যাপার আলাদা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন রমজানের একদিন কিংবা দুই দিন আগে অবশ্যই রোজা না রাখে। তবে হ্যাঁ, কারও (আগে থেকেই) এদিনে রোজা রাখার নিয়মে চলে এসে থাকলে সে ওই দিনও রোজা রাখতে পারে।’ (বোখারি : ১৮১৫; মুসলিম : ২৫৭০)।
এমনকি ‘ইয়াওমুশ শক’ তথা সন্দেহের দিনও রোজা রাখা যাবে না। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার দরুন শাবান মাসের ২৯ তারিখ রাতে চাঁদ দেখা না গেলে পরের দিনকে ইয়াওমুশ শক বা সন্দেহের দিন বলা হয়। কারণ সেদিন শাবান মাসের ৩০ তারিখ বা রমজানের ১ তারিখ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হাদিসের বর্ণনা মতে, আম্মার ইবনে ইয়াসির (রা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সন্দেহের দিন রোজা রাখল, সে আবুল কাসেমের (রাসুল সা.) নাফরমানি করল। (তিরমিজি : ৬৮৬; আবু দাউদ : ২৩৩৬)।