এরা একে অপরের বেস্ট ফ্রেন্ড। এদের মধ্যে একটি বিষয়ে মিল রয়েছে, সেটি হলো তারা দুজনেই বধির। মূলত আর নিজেদের এ কষ্টই তাদের একসূত্রে গেঁথেছে। নিক অ্যাবট তার ফেইসবুক নিউজ ফিডে এমারসনকে প্রথম বার দেখেন। এমারসন একটি কালো ল্যাব্রাডর। কুকুরটির ছবি পোস্ট করেছিল উত্তর ফ্লোরিডা রেসকিউ (এনএফআর)। সেখানে লেখা ছিলÑ এমারসন একটি সুন্দর পরিবার খুঁজছে। নিক জানান, এ পোস্ট দেখার পরই তিনি কুকুরটির প্রতি টান অনুভব করতে থাকেন। নিক এবং এমারসন দুজনেই বধির। নিক জানান, বধির হওয়া কতটা কষ্টের, আমি জানি। তাই তিনি এমারসনকে বুঝতে পারবেন বলে আশা করেছিলেন। এমারসনের সঙ্গে আর যে কুকুর ছানাগুলো জন্মেছিল তাদের সবাইকে কেউ না কেউ দত্তক নিয়েছিলেন। শুধু এমারসন কোনো ঘর খুঁজে পায়নি তখনও পর্যন্ত। নিক জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি কিছুটা সংশয়ে ছিলেন। ভাবছিলেন, এ দায়িত্ব তিনি ঠিকঠাক পালন করতে পারবেন কি না। কিন্তু তিনি এমারসনকে তার মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এমরাসনকে দেখতে যাবেন। এমারসনের কাছে যেতেই সে তার পায়ের ওপর শুয়ে পড়ে, যেন তাদের কত দিনের চেনা-জানা। সেই মুহূর্তেই নিক সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেন। নিক জানান, এখন তাদের বন্ধুত্ব অন্য পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। নিক যেখানেই যান, আশপাশে ঠিক উপস্থিত থাকে এমারসন। এখন নিক এমারসনকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। ইঙ্গিতে কীভাবে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়, তা বেশ রপ্ত করছে এমারসন। এটা একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এখন তারা সব থেকে ভালো বন্ধু। পরস্পরের সান্নিধ্য উপভোগ করছে। আনন্দবাজার