ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মানিকদহ ইউনিয়নের পুকুরিয়া, ব্রাহ্মণকান্দা, মৃধাকান্দা ও খাঁকান্দা নাজিরপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আট পুলিশ, নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে ভাঙ্গা সদরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশ কনস্টেবল আরিফুজ্জামানকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে ৮৩ জনের নামে একটি মামলা করেছে। স্থানীয়রা জানান, ছয়টি গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে দুটি দল এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন করিম মাতুব্বর। অন্য দলের নেতৃত্ব দেন মোমরেজ তালুকদার ও আক্কাস মাতুব্বর। দু’দিন আগে মোমরেজ মাতুব্বরের দলে থাকা রাজ্জাক মাতুব্বর ও ওহাব মাতুব্বরসহ প্রায় চার থেকে পাঁচশ লোক ব্রাহ্মণকান্দা গ্রাম থেকে করিম মাতুব্বরের দলে যোগ দেন। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ঢাল, সড়কি, টেঁটা, রামদা নিয়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। এতে আহত হন অন্তত ৩০ জন। এ সময় চারটি দোকান ও ১০ থেকে ১২টি বসতঘর ভাংচুর ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশসহ ও ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি এবং ব্যাপক লাঠি চার্জ চালায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিখিল চন্দ্র বলেন, খবর পেয়ে আমি ও এএসপি সার্কেল রবিউল ইসলাম স্যারসহ ফোর্স এবং ফরিদপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এ সময়ে ভাঙ্গা থানার আট পুলিশ আহত হয়েছেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৮৩ জনকে আসামি করে এবং আরও দুই থেকে তিনশ অজ্ঞাত নাম দিয়ে একটি মামলা হয়েছে।