খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, রোজার সময় পচা-বাসি খাদ্য যাতে বিক্রি না হয়, সেজন্য র্যাবের সমন্বয়ে ব্যাপক নজরদারি চালানো হবে। সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রমজানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণবিষয়ক সমন্বয় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু রমজানে নয়, ৩৬৫ দিনেই আমরা রমজানের শিক্ষা নিয়ে খাদ্য সরবরাহ করতে চাই। প্রয়োজন হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী সরকারি খাদ্যগুদামগুলোতে ১২ লাখ ৪০ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুদ ছিল। এর মধ্যে চালের পরিমাণ ১০ লাখ ৬৭ হাজার টন ও গমের পরিমাণ ১ লাখ ৭৩ হাজার টন। তিনি বলেন, খাদ্যশস্যের এ মজুদ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই। চাল ও আটার বাজারদর সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী জানান, পাইকারি বাজারে চালের কেজি ২৬ থেকে ২৮ টাকা, খুচরা বাজারে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, আটা খুচরা বাজারে ২৬ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলাবাজার (ওএমএস) ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ৮০টি কেন্দ্রে, বিভাগীয় শহরগুলোতে ৮২টি, শ্রমঘন জেলা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরে ১৪১টি কেন্দ্রে পণ্য বিক্রি করছে বলে খাদ্যমন্ত্রী জানান।