রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার তাকে পদত্যাগপত্র দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উইলিয়ামসনের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনএসসি) বৈঠকে যুক্তরাজ্যে ফাইভজি নেটওয়ার্ক স্থাপনে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়েকে কাজ দেওয়া-সংক্রান্ত আলোচনার তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে উইলিয়ামসনের কর্মদক্ষতার ওপর আস্থা হারিয়েছেন। এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে উইলিয়ামসন বলেছেন, এ তথ্য ফাঁসের জন্য তিনি দায়ী নন। তিনি বলেছেন, এনএসসি বৈঠকের পর কী হয়েছিল, তা নিয়ে পুলিশি তদন্তের জন্য তিনি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাষ্ট্রের সবচেয়ে গোপনীয় বিষয়গুলো
এনএসসিতে আলোচনায় ওঠে; জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরাই এর সদস্য থাকেন, সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া প্রয়োজনে সামরিক ও গোয়েন্দা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদেরও বৈঠকে ডাকা হয়ে থাকে। এনএসসির গেল সপ্তাহের বৈঠকে চীনের হুয়াওয়ে প্রতিষ্ঠানকে ফাইভ জি নেটওয়ার্কের কাজ দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করলে তা নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে দেশটির পার্লামেন্টে। এছাড়া ঘটনাটি এমন এক সময়ে ফাঁস হয়েছে, যখন হুয়াওয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টানাপড়েন চলছে। ফলে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে চলে আসায় অস্বস্তিতে পড়ে থেরেসা সরকার। তাই বরখাস্ত হতে হলো উইলিয়ামসনকে। পদত্যাগ করতে বলে উইলিয়ামসনকে লেখা চিঠিতে থেরেসা বলেছেন, এ তথ্য ফাঁসের একটি তদন্তে তার দায়িত্বহীনতার প্রমাণই উঠে এসেছে। আর কাউকে দায়ী করার মতো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছিলেন উইলিয়ামসন। তাকে বরখাস্ত করার পর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়কমন্ত্রী পেনি মরডান্টকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন থেরেসা। বিবিসি