আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৬-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

মাদকের দংশনে বিপন্ন তারুণ্য

আফতাব চৌধুরী
| সম্পাদকীয়

বর্তমান সমাজে মাদকদ্রব্য সেবন একটি প্রচলিত কুপ্রবৃত্তি। দিনে দিনে এ প্রবৃত্তি ক্রমে সর্বত্র বিস্তার লাভ করছে। মানুষ যতই শিক্ষাদীক্ষা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর হচ্ছে, ততই আধুনিকতার অনুসরণ করছে। হোটেল, রেস্তোরাঁ, রকমারি অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্য সেবন আজকাল আধুনিকতা এবং শৌখিনতায় রূপ নিচ্ছে। অথচ আমরা সবাই জানি, নেশা করা একটি ক্ষতিকর অভ্যাস। নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনে একজন ভালো মানুষকে পাগলের স্তরে নিয়ে যায়, সুস্থ-সবল ব্যক্তিকে অসুস্থ-দুর্বল করে, আর চরিত্রবান মানুষকে করে চরিত্রহীন। এছাড়া আর্থিক ক্ষতি, সামাজিক অমর্যাদা এবং পারিবারিক গোলযোগ তো লেগেই থাকে নিজ নিজ পরিবারে।
বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বাড়ছে। এতে পরিবার, সমাজ এবং জাতির ক্ষতির পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। খাদ্য বা পানীয় হিসেবে মাদকই একমাত্র বস্তু, যা মানুষের আর্থিক, মানসিক, সামাজিক এবং শারীরিক ক্ষতি করে থাকে। নেশাদ্রব্য সেবনে কিছু সময়ের জন্য শরীরে উত্তেজনা বেড়ে থাকে এবং মনও প্রফুল্ল হয়। কিন্তু তা যেমন ক্ষণস্থায়ী, তেমনি নিরর্থক। তবু মানুষ নেশার জন্য পাগল হয়ে ওঠে। এ নেশাই মানুষের চিন্তা ও কর্মশক্তি হ্রাস করে, চেতনা ও বিবেচনাশক্তির অভাব ঘটায়, সর্বোপরি মানুষকে করে মাতাল। চরিত্রহীন মাতালদের সমাজে ছোট-বড় সবাই ঘৃণা করে। অবস্থাসম্পন্ন, উচ্চশিক্ষিত এবং অভিজাত পরিবারের লোক হলেও চরিত্রহীনকে কেউ ভালো মানুষের স্তরে স্থান দেয় না। টানা নেশা করার ফলে শরীরে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি দেখা দেয়। স্নায়ু দুর্বল হয়, পেটে নানারকম রোগ বাসা বাঁধে, মূত্রাশয়ে রোগ জন্মে, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি জটিল রোগের উৎপত্তি হয়। এতে অনেকে অকালে-বেঘোরে প্রাণ হারায়। বিষাক্ত মদ খেয়ে বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গে অনেকের অকাল এবং করুণ মৃত্যুর খবর হরহামেশাই পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হওয়া সত্ত্বেও শুধু ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে পাশের দেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে এদেশে মাদক প্রবেশ করে। ভৌগোলিকভাবে গোল্ডেন ট্রায়াংগেল, গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ওয়েজÑ এ তিন মাদক বলয়ের মাঝে অবস্থান হওয়ায় বাংলাদেশ মাদক চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। 
রূপকল্প-২০২১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ২০৪০ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তা বাস্তবায়নের জন্য দরকার একটি কর্মনিপুণ দক্ষ যুবসমাজ, যাদের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ সে-ই যুবসমাজকে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাব মাদকমুক্ত পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। দেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি, বিশেষ করে ছাত্রসমাজকে টার্গেট করে মাদকবিরোধী প্রচারণার কাজ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।
মাদক নিয়ন্ত্রণের নোডাল এজেন্সি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো মাদক প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মাদকদ্রব্যের চাহিদা হ্রাস কল্পে মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে। নতুন আঙ্গিকে প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহরে জনবহুল স্থানে মাদকবিরোধী বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি স্থাপনের মাধ্যমে মাদকবিরোধী প্রচার-প্রচারণায় নতুনত্ব আনয়ন করা হচ্ছে। এসব কাজ জনগণের দৃষ্টি কেড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী সভা ও কমিটি গঠন করা হচ্ছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রায়ই এসব সমাবেশে বক্তব্য রাখতে ও দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যাচ্ছে।
মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিসহ যাবতীয় কাজের মূল্যায়ন, পরামর্শ প্রদান, সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজ অবিরাম গতিতে চলছে। আমি জেলা পর্যায়ের কমিটির একজন সদস্য। জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটিসহ অন্যান্য কমিটি সভার দিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও প্রচারণা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে মাদকবিরোধী কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সুযোগ থাকে না। বর্তমানে মাদক সমস্যার গুরুত্ব বিবেচনায় এ কমিটির সব সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ আলাদাভাবে সময় নিয়ে এ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন, আমি মনে করি। কমিটির অন্যতম সদস্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন, শিক্ষা, সমাজসেবা ও তথ্য বিভাগের মাদকবিরোধী প্রচারণা কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ওই বিভাগগুলোর স্বতঃস্ফূর্ততা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ওই বিভাগগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন মনে করি।
সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রতিদিন যেসব খুন, সন্ত্রাসী, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার ঘটনাসহ অপরাধমূলক খবরাখবর ছাপা হচ্ছে তার প্রায় সব ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে তরুণ ও যুবসমাজ জড়িত। সবচেয়ে মারাত্মক যে বিষয়টি উদ্বেগের এবং আমাদের সতর্ক হতে নির্দেশ দিচ্ছে, তাহলো এদের অধিকাংশই মাদকাসক্ত।
নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই যুবসমাজের মধ্যে মাদকাসক্তির পরিমাণ সাম্প্রতিক সময়ে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। শহরাঞ্চলে ধনী পরিবারের সন্তানদের মধ্যে আসক্তির যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে তা এক ভয়াবহ পরিণতির ইঙ্গিতবাহী। মাদক কেবল তরুণ প্রজন্মের প্রাণশক্তি ও মেধাকে ধ্বংস করছে না, এর কারণে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অপসংস্কৃতি ও অপরাধের বিস্তার ঘটছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাদকাসক্তদের শুধু দায়ী করলেই হবে না এর সঙ্গে একদিকে দারিদ্র্য ও বেকারজনিত বিপুল হতাশা, অন্যদিকে সব পর্যায়ে নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত সীমাহীন লোভ গোটা সমাজকে ভারসাম্যহীন করে তুলেছে। মাদক পাচার ও ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তি প্রদানসহ মাদকের সহজপ্রাপ্যতা  ও পাচার রোধ করতে হবে।  নিজ নিজ সন্তানের প্রতি যতœশীল হতে হবে। সরকার ও জনগণের সমন্বয়ের মাধ্যমে এ ভয়াবহ ব্যাধি দূর করতে হবে। মাদকাসক্তদের দ্বারা খুন-রাহাজানি বন্ধ করতে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি তরুণ সমাজকে মাদকাসক্ত ও বখাটে হওয়ার আগেই সচেতন করার জন্য সব মাধ্যমকে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর করা অতীব জরুরি।
‘মদের বোতল মানেই ধ্বংসের বোতল’Ñ কথাটি বাস্তবে সত্য। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে যতই প্রচারাভিযান চালানো হবে মানুষ এর কুফল সম্পর্কে জানতে পারবে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব স্থানে শুধু প্রশাসন বা পুলিশ নয় সমাজের বিবেকবান প্রতিটি মানুষই মাদকবিরোধী অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। মানুষকে মাদকসেবনের কুফল সম্পর্কে যতই জ্ঞান দেওয়া যাবে, মানুষ তা পরিত্যাগের চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই মাদকবিরোধী অভিযানকে আরও জোরালো করতে হবে।
হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সব ধর্মের প্রবর্তক এবং প্রচারকরা কঠোর ভাষায় নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন নিষিদ্ধ করেছেন। কারণ তা সেবন করলে বাবা-মা, ছেলেমেয়ে, স্বামী-স্ত্রী এবং পরিবার-পরিজন সম্পর্কে অনেকেরই সম্যক জ্ঞান থাকে না। সমাজে নানা রকম অনাচার দেখা দেয়। উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে মানুষ শুভ কাজের পরিবর্তে কুকাজ করতে দ্বিধা করে না, ধর্ম-কর্মেও মন বসে না। পবিত্র কোরআনে সূরা বাকারায় বলা হয়েছেÑ হে নবী! আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। আপনি বলে দিনÑ এ দুটির ব্যবহারই মহাপাপ। হজরত মুহাম্মদ (সা.) মাদকদ্রব্য সেবনকে পরিষ্কার ভাষায় ‘হারাম’ ঘোষণা করেছেন। ভারতের প্রয়াত নেতা মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন, এক ঘণ্টার জন্য দেশের শাসনভার পেলে তিনি দেশের সব মদের দোকান বন্ধ করে দিতেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমআরসি ল্যাবরেটরি অব মলিকিউলারের গবেষক অধ্যাপক লিন্ডা বোল্ডের মতে, মাদকাসক্তদের ৮০ শতাংশেরই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জর্জ বানার্ডশ বলেছিলেন, মধ্যযুগের লোকেরা তাদের রুচিসম্মত উৎকৃষ্ট দ্রব্য উৎপন্ন করত বলেই যে বর্তমানের তুলনায় সহজ, সুন্দর, জীবনযাপন করত তা নয়, তাদের এ আরাম-আয়েশের মূল কারণ তারা মাদকাসক্ত ছিল না। ছাত্রছাত্রী ও যুবক-যুবতীদের মাদকাসক্ত ভাব দেখে আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তাত্ত্বিক বিভাগের অধ্যাপক হেরিংটন মতামত ব্যক্ত করে বলেন, দেশ ও জাতিকে  সুস্থ রাখতে হলে ছেলেমেয়েরা যাতে মাদকাসক্ত না হয়, সেদিকে প্রত্যেকটি নাগরিকের লক্ষ রাখা উচিত। এ বার্তা বিশ্বের প্রত্যেক দেশের সচেতন নাগরিকদের জানিয়ে দেওয়ার জন্যও তিনি মিডিয়ার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। সুষ্ঠুভাবে বাঁচার স্বার্থে আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা সুস্থ, সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যাশায় বিশ্ববরেণ্য গায়ক মাইকেল জ্যাকসনের সুরে আমরাও বলিÑ ঐধরষ ঃযব ড়িৎষফ ধহফ সধশব রঃ নবঃঃবৎ ঢ়ষধপব ঃড় ষরাব রহ অর্থাৎ রিক্তশ্রী পৃথিবীতে শুভ বুদ্ধির জয় হোক। যুগ যুগ ধরে জ্ঞানী, গুণী প-িতরা মাদকদ্রব্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে নানাভাবে উপদেশ প্রদান করলেও এর ব্যবহার কমছে না, বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাদক! যাকে বলা হয় সব সন্ত্রাস ও অপরাধের জনক। একজন মানুষ যখন অন্ধকার ভুবনে পা বাড়ায়, তখন সে প্রথম সিঁড়ির যে ধাপটিতে পা রাখে তা হচ্ছে মাদক সেবন। এ মাদকদ্রব্য তাকে টেনে নেয়, উৎসাহিত করে পরবর্তী ধাপগুলো পেরিয়ে যেতে। ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে আমাদের এ উপমহাদেশে মাদক ব্যবসা ও প্রাপ্তির সহজলভ্যতা বেশি এবং বর্তমান অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে তরুণ সমাজ এদিকে ঝুঁকছেও বেশি, ঠিক যেমনটি প্রত্যাশা মাদক ব্যবসায়ীদের। বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত সরকারি ও বেসরকারি সমীক্ষায় পাওয়া তথ্যে প্রকাশÑ মাদক পাচারের জন্য এ উপমহাদেশকেই বেশি নিরাপদ মনে করছে পাচারকারীরা।
মাদকদ্রব্য সেবনে মানুষের মানবতাবোধ লোপ পায়, শরীরে নানা রোগ-ব্যাধি দেখা দেয়, চরিত্র নষ্ট হয়, পরিবারে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, অর্থের অপচয় হয়, সামাজিক পদমর্যাদা বলতে কিছুই থাকে না। ভালো মানুষ ও ভালো পরিবার সমাজে স্থান পায় না। কাজেই মাদকদ্রব্যের ব্যবহার সব দিক দিয়েই মানুষের জন্য দারুণ ক্ষতিকর, এতে সন্দেহ নেই। গাঁটের পয়সা খরচ করে মানুষ যদি রুগ্্ণ হয়, অমানুষ হয়, মানুষের কাছে পরিত্যাজ্য হয়Ñ তাহলে সুস্থ সমাজ গড়ে উঠতে পারে না। সমাজ সুস্থ না হলে জাতীয় জীবন সুস্থ আশা করা যায় না। ফলে অনাচার, অবিচার, ব্যভিচার, দ্বন্দ্ব ও সংঘাত বিদ্যমান থেকেই যায়, যা কোনো দেশের পক্ষে শুভ হতে পারে না। কাজেই সমাজের উন্নতির জন্য মাদকদ্রব্য নিবারণ একান্ত অপরিহার্য। আর এটা সম্ভব সবার সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে।
বাংলাদেশের মতো আপাত পশ্চাৎপদ ও সমস্যাসংকুল অথচ প্রভূত প্রাকৃতিক ও জনসম্পদে সমৃদ্ধ বিপুল সম্ভাবনাময় দেশটিকে সর্বনাশা মাদকের করাল গ্রাস থেকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। মাদকের কারণে শ্রম দিবস নষ্ট, উৎপাদন হ্রাস, দীর্ঘ চিকিৎসার বাড়তি খরচ, জনশক্তির ক্ষয় ইত্যাদি রোধকল্পে সরকারকে মাদকবিরোধী অভিযানের ফলে আবগারি আয় হ্রাস, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ইত্যাদি ব্যাপারে আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করতে হবে। সরকারের একাগ্রতা ও সদিচ্ছা, সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের সততা, নিরপেক্ষতা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ, সমাজ সচেতন ব্যক্তি ও অভিভাবকদের আন্তরিক সহযোগিতা সুষ্ঠু সমন্বয় তথা সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে মাদকদ্রব্যের বিরাজমান ভয়াবহ অভিশাপ থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর, সুখী ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা বিধান সম্ভব বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। হ

আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক ও কলামিস্ট
সদস্য সিলেট জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ ও প্রচারণা কমিটি