ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কোর্স সূচি ও প্রশিক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন, কেন্দ্রীয় ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম চালু, প্রশিক্ষণ পদক বা অ্যাওয়ার্ড প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করবে এটুআই ও আরও ১১ প্রতিষ্ঠান। সরকারি প্রশিক্ষণ প্রদানকারী এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ৩০ এপ্রিল তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলম। তিনি বলেন, সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করলে প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধি পাবে ও দক্ষতার সঙ্গে সরকারি সেবা প্রদান সম্ভব হবে। এ সমঝোতা স্মারক দেশের প্রত্যেকটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে সুবিধা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে এ স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকটি বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে অবদান রাখবে। এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সমঝোতা স্বাক্ষর-পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের অনুষদ সদস্যদের নিয়ে রিসোর্স পুল গঠন করা হবে। এটুআইয়ের মুক্তপাঠ/ই-লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের খরচ কমবে। তিনি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনার প্রস্তাব করেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলোÑ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস), জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (এনএপিডি), পুলিশ স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশিক্ষণ একাডেমি (বিবিটিএ), প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি), বিসিএস ট্যাক্স একাডেমি, শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, জাতীয় সমাজসেবা একাডেমি ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
