পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা করে বিপাকে পড়েছে ধর্ষিতার পরিবার। মামলা তুলে নিতে খুন, জখম ও এসিড মারার অব্যাহত হুমকির মুখে ওই ছাত্রীর হতদরিদ্র বাবা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রোববার স্থানীয় যুবলীগ নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খায়ের ঘটিচোরা গ্রামের এক হতদরিদ্রের মেয়ে এবং মিরুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে এলাকার স্থানীয় বখাটে সাইফুল, নাজমুল, শাওন এবং ইসমাইল ৩০ নভেম্বর দুপুরে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন। এ সময় ধর্ষণের অশ্লীল চিত্র মোবাইলে ভিডিও করেন তারা। পরে ওই ছাত্রীর ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আবার ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১ মার্চ চারজনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এ মামলার আসামি ইউনিয়ন তাঁতী লীগ সভাপতি ইসমাইল জমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করলেও অন্য তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে ইসমাইল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
অন্যদিকে এ মামলা তুলে নিতে মিরুখালী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি লাভলু তালুকদার, আসামি নাজমুল, শাওন এবং হাজতে থাকা ইসমাইলের বাবা এমাদুল খলিফা বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখান এবং ওই ছাত্রীকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে অশ্লীল ভাষায় গালমন্ধ ও অশোভন অঙ্গভঙ্গি করেন। এমনকি মামলা প্রত্যাহার না করলে খুন-জখমের হুমকি দেন।
ওই ছাত্রীর মা ও মামলার বাদী সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, এমাদুল খলিফা ও আসমি নাজমুল মামলা তুলে না নিলে তাকে এসিড মারার হুমকি দেন। এ বিষয়ে লাভলু তালুকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মঠবাড়িয়া থানার ওসি সৈয়দ আবদুল্লাহ জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।