রোজার আবশ্যকীয় প্রথম কাজ হচ্ছে নিয়ত। প্রতিটি রোজার জন্য পৃথক পৃথক নিয়ত করা প্রয়োজন। অবশ্য নিয়তের শব্দগুলো মুখে উচ্চারণ করা অপরিহার্য নয়। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেই নিয়তের দায়িত্ব পালন হয়ে যায়। ঘটনাক্রমে কেউ সারাদিন পানাহার, কামাচার ও পাপাচারমুক্ত থাকলেই রোজা হয় না। তার এই বিরতির পেছনে উদ্দেশ্যটি নির্ধারিত থাকতে হবে। এ ব্যাপারে হুজুর (সা.) বলেছেনÑ
‘উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছ থেকে শুনেছি, তিনি বলেনÑ নিয়তের ওপর সব কাজ নির্ভরশীল এবং নিশ্চয় প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করবে তাই তার প্রাপ্য। অতঃপর কোনো ব্যক্তি যদি দুনিয়া পাওয়ার নিয়ত করে তাহলে সে দুনিয়া পাবে অথবা কোনো নারীকে পাওয়ার নিয়ত করে তাহলে সে নারীকে পাবে। অতঃপর তার হিজরত যে উদ্দেশ্যে হবে সে সেই উদ্দেশ্যে পৌঁছবে।’ (বোখারি)।
কোনো এক বান্দা রোজার নিয়তই করেনি, বরং এমনিতেই ক্ষুধার্ত থেকেছে অথবা নিয়ত ছিল শরীরের ওজন কমানোর। যেমন বর্তমানে অনেক মানুষের শখ হয় না খেয়ে শরীরের ওজন কমানো তাহলে তাকে রোজা বলবে না। তথা সে সারা দিন ক্ষুধার্ত থেকে সময় অতিবাহিত করেছে কিন্তু এটাকে রোজা বলা হবে না। তাই রোজার জন্য নিয়ত অতীব জরুরি। রোজার নিয়ত দুপুরের এক ঘণ্টা আগে করলেও রোজা হয়ে যাবে। তবে শর্ত হলো, তার আগ পর্যন্ত কিছু না খেয়ে থাকতে হবে। মুখে নিয়ত করা মুস্তাহাব। সাহরি খাওয়ার পর নিয়ত করবেন এভাবেÑ ‘আমি রমজানের আগামী দিনের রোজার নিয়ত করলাম।’ আরবি ভাষায় নিয়ত করতে চাইলে তা নিম্নরূপ :
নাওয়াইতু আন আসুমা গাদাম মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক, ফারদাল লাকা, ইয়া আল্লাহু! ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার ফরজকৃত রোজা রাখার নিয়ত (সংকল্প) করলাম। হে আল্লাহ, তুমি দয়া করে আমার রোজা কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।