রাজধানীর বাস রুট রেশনালাইজেশন করতে দীর্ঘ সময় লাগায় আপাতত চলমান বিভিন্ন কোম্পানির বাস দিয়েই ২২টি রুটে ছয় রঙের বাস চালানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন বাস রুট রেশনালাইজেশনসংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। রোববার নগর ভবনে কমিটির ৮ম সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, বর্তমানে রাজধানীতে আড়াই হাজার মালিকের প্রায় পাঁচ হাজার বাস চলমান রয়েছে। রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এসব বাস ছয়টি কোম্পানির অধীনে ২২টি রুটে চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে; কিন্তু এটি চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়ন করতে প্রায় দুই বছর প্রয়োজন হবে; যা সময়সাপেক্ষ। এজন্য আপাতত রাজধানীতে চলমান বাস নিয়ে ছয়টি রং করে রুটগুলোতে পরিচালনা করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। এ ব্যাপারে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। ২০ মে এ সংক্রান্ত পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গঠিত কমিটি যদি এ সিদ্ধান্ত সঠিক মনে করে তাহলে আমরা বিদ্যমান বাস দিয়ে রুটগুলোকে রেশনালাইজেশন করে ছয় কোম্পানির আওতায় এনে প্রাথমিকভাবে পরিচালনা করব। এছাড়া কোথায় কোথায় বাস বে-নির্মাণ করা প্রয়োজন সে বিষয়েও পুলিশের পক্ষ থেকে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হবে।
মেয়র বলেন, সদরঘাট থেকে রামপুরা পর্যন্ত রুটে গত এপ্রিলের শেষে চক্রাকার বাস সার্ভিস চালুর কথা ছিল; কিন্তু সেটি এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি। ওই রুটে বাস চালু করতে আর একটু সময় নেওয়া হচ্ছে। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ রুটে শুধু বিআরটিসি নয়, ব্যক্তিমালিকানা বাসও যেন এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধমে চলতে পারে এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি। সবকিছু মিলিয়ে নাগরিকদের সাশ্রয়ীমূল্যে সেবা নিশ্চিত করা হবে।
ধানমন্ডিতে বিআরটিসির বাস চালু হলেও যানজট আশানরূপ না কমা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আসন্ন রমজানের কারণে রিকশাকে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ঈদের পর রিকশা প্রধান সড়কে আর চলতে দেওয়া হবে না। তখন এর পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাবে। যানজট কমাতে ফুটপাতে হকারদের কোনোভাবেই বসতে দেওয়া হবে না বলেও মেয়র জানান।