নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে যেসব বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার হুমকি পেয়েছেন, তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, হুমকির ঝুঁকি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। রোববার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হত্যার হুমকি পাওয়ায় নিরাপত্তা চেয়ে রোববার বেলা সোয়া ১টার দিকে ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। ধানমন্ডি থানার ওসি আবদুল লতিফ জানান, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে মুনতাসীর মামুনের একজন অফিস সহকারী এসে জিডি করেন।
তেজগাঁওয়ের অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের পেছনে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের ষড়যন্ত্র ছিল, এখনও আছে। তাদের দমন করা গেলেও মূল উৎপাটন করা সম্ভব হয়নি। তারাই মাঝেমধ্যে হুমকি-ধমকির মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু তাদের হুমকিতে বাংলাদেশের মানুষ কখনোই ভয় পায় না। কারণ, এ দেশের মানুষ সংগ্রাম করেই আজকের অবস্থানে এসেছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে। তারা একের পর এক জঙ্গিদের দমন করছে। লোন উলফ ম্যাগাজিনের মার্চে প্রকাশিত সংখ্যায় দেশের কয়েকজনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ হুমকি-ধমকিতে এ দেশের জনগণ ভয় পায় না। সম্প্রতি গুলিস্তানে পুলিশের ওপর বোমা হামলার বিষয়ে আইএসের দায় স্বীকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু হলেই সাইট ইন্টেলিজেন্সে দায় স্বীকার করা হয়। এটি দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
আল-কায়েদা সমর্থিত বাংলা সাময়িকী লোন উলফের মার্চ সংখ্যায় বাংলাদেশের তিন বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত খবর গেল শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসে। হুমকি পাওয়া তিন নাগরিকের মধ্যে রয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। হুমকি পাওয়া অন্যজন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তিনি শনিবারই নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ধানমন্ডি থানায় জিডি করেছেন।