রাজধানীর হাজারীবাগে টাকার জন্য মাকে হত্যার দায়ে ছেলে মোবারককে মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ বেগম চমন চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বেকার মোবারক টাকার জন্য প্রায়ই তার মাকে মারধর করত। ২০০৭ সালের ২৪ আগস্ট বিকালে মোবারক তার মায়ের কাছে কিছু টাকা চায়। তার মা তাকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে তার মাকে মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ২৭ আগস্ট সকালের দিকে নিহতের ভাই আবদুর রশিদ লোকমুখে শুনেন হনুফা বেগমের রুম বাইরে থেকে তালা দেওয়া এবং ঘর থেকে পঁচা গন্ধ বের হচ্ছে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা গিয়ে ঘর থেকে হনুফা বেগমের লাশ উদ্ধার করে। ২ থেকে ৩ দিন আগে মোবারক তার সহযোগীদের নিয়ে হনুফাকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করে বিছানার ওপর লাশ রেখে কাঁথা বালিশ ও অন্যান্য কাপড়- চোপড় দিয়ে ঢেকে রেখে রুমের দরজা বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চলে যায় বলে বাদী এজাহারে অভিযোগ করেন। হনুফা ঢাকা সিটি করপোরেশনের একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন। হনুফাকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে তার ভাই আবদুর রশিদ ২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট হাজারীবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় মা হনুফা বেগমকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন মোবারক। পরে ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর চার্জশিট দাখিল করেন হাজারীবাগ থানার এসআই ফারুক ভূঁইয়া। ২০০৮ সালের ২ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামির পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কাজী সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আনোয়ার শাহাদাত শাওন।