টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে টাকা নিতে এসে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছে কথিত দুই জিনের বাদশাহ। পরে ওই দুইজনকে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। রোববার দুপুরে উপজেলার দেউপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নদাপুর গ্রামের ডিপ্টি আকন্দের ছেলে মোখলেছুর রহমান ও একই এলাকার আবু তাহের। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিতলের পুতুল উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে জিনের বাদশাহ পরিচয়ে উপজেলার দেউপুর গ্রামের সুরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মোখলেছুর রহমান ও আবু তাহের। এক পর্যায়ে কথিত ওই জিনের বাদশাহ সুরুজ্জামানকে বলেন ৫ হাজার ১০০ টাকা দিলে তুই একটা সোনার পুতুল পাবি। পরে তাদের কথামতো সুরুজ্জামান পাশের এক মসজিদের দান বাক্সের ওপর টাকা দিয়ে পুতুল নিয়ে আসেন। কথা ছিল পুতুলের প্যাকেট যেন আগেই না খোলা হয়। এরমধ্যে জিনের বাদশাহরা আবার বলেন, যদি ৫০ হাজার ১০০ টাকা দিস তাহলে তুই সোনার কলসি পাবি। এদিকে প্যাকেট খুলে দেখা যায় স্বর্ণের পুতুলটি পিতলের। সুরুজ্জামান বিষয়টি এলাকার কয়েকজনকে জানিয়ে মসজিদের দান বাক্সের উপরে কিছু ৫০০ টাকার নোট আর কাগজ দিয়ে মোড়ানো একটি বান্ডিল রাখেন। রাতে ওই দুই প্রতারক টাকা নিতে এলে এলাকাবাসী তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে গণপিটুনি দিয়ে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আলীম বলেন, যারা ধর্মের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের প্রতারণা করে, তাদের দৃষ্টামূলক শাস্তি হওয়া দরকার। এ বিষয়ে কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ওয়াহাব বলেন, গ্রামবাসী কথিত দুই জিনের বাদশাহকে ধরে খবর দেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি।