আনন্দময় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের যা কিছু ভালো এ দুইয়ের সম্মিলনে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে গড়ে তোলা হবে। বুধবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, যে পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে যথার্থ ভূমিকা রাখে সে রকম পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি আরও বলেন, যান্ত্রিক ও প্রাণহীন শিক্ষার বদলে আনন্দময় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খারেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সনজীদা খাতুন। রবীন্দ্রনাথ স্মারক বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি মফিদুল হক। 
ডা. দীপু মনি বলেন, একটি মানবিক সমাজ গড়ার জন্য রবীন্দ্রনাথ ছিলেন সর্বপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা, সংকীর্ণতা ও উগ্রজাতীয়তাবাদের বিপক্ষে। তিনি স্বপ্ন দেখেছেন মিলিত বাঙালির, তাই হিন্দু-মুসলমানের মিলনে তিনি ছিলেন পরম আশাবাদী। সনজীদা খাতুন বলেন, রবীন্দ্রনাথের মানবিকতাবোধের কারণে তার প্রতি আমাদের বিশেষ আকর্ষণ। তিনি দেখিয়েছেন যে, প্রেম সবার ওপরে। এই প্রেম মানবিকতার প্রেম। প্রাণের প্রেম। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, রবীন্দ্রনাথ একই সঙ্গে বাঙালি, ভারতীয় ও বিশ্ব নাগরিক।