আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত করতে আমাদের যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে যুবসমাজকে আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত করা গেলে সামাজিক অপরাধগুলো কমে যাওয়ার পাশাপাশি সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সামাজিক বন্ধনও সুদৃঢ় হবে। কারণ মানবতার কল্যাণে নিবেদিত ব্যক্তিরা অপরাধ করতে পারে না।
বুধবার রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে বিশ^ রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘হেনরী ডুনান্ট যুদ্ধক্ষেত্রে আহতদের সেবা ও নিহতদের সৎকার করার উদ্দেশ্যে রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট প্রতিষ্ঠা করলেও এর সেবা ও কর্মপরিধি বর্তমানে ব্যাপক এবং বিস্তৃত। রেড ক্রিসেন্ট এখন একটি ভরসার জায়গা। দুর্যোগে জনগণের বন্ধু এখন রেড ক্রিসেন্ট। তাই হেনরী ডুনান্ট পৃথিবীতে একজন সফল ও স্বার্থক সমাজ সেবক। তার মানবিকতা ও বিশাল ত্যাগই তাকে ইতিহাসের পাতায় মহামানবের স্থান করে দিয়েছে। আর্ত-মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই রয়েছে জীবনের স্বার্থকতা। জীবনের উদ্দেশ্য শুধু নিজেকে সুখী করা নয়, বরং উদ্দেশ্য হওয়া উচিত অন্যকে সুখী করা। পৃথিবীতে দান করে কিংবা মানবসেবা করে কেউ কখনো গরিব হয়নি, বরং গরিব মানসিকতার মানুষরাই কখনো কারো জন্য কিছু করতে পারেনি। পৃথিবীতে সেই মানুষগুলোই সবচেয়ে সুখের কাছাকাছি যেতে পেরেছে, যারা নিজেদের আর্তমানবতার সেবায় বিলিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। নিজের জন্য নয় সমাজ ও মানুষের সেবা করার মাঝেই রয়েছে সবচেয়ে বড় আনন্দ। মানবসেবাই বড় ধর্ম, তাই আসুন মানবের কল্যাণে, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। সবার পদযাত্রা হোক মানবতার কল্যাণে, সত্য, সুন্দর ও মানবতার জয়গানে। পৃথিবীর ইতিহাসে যুগে যুগে অনেক জ্ঞানীগুণী সমাজসেবক ও মহৎপ্রাণ মানুষ জন্মগ্রহণ করেছেন। রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্টের প্রতিষ্ঠাতা হেনরী ডুনান্ট সেসব শ্রেষ্ঠ মানুষের একজন। যার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ অসহায় ও বিপন্ন মানবতার সেবায় নিয়োজিত। যিনি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে পৃথিবীর সব মানুষকে এক পতাকাতলে একই কর্মসূচিতে সামিল করেছিলেন।