আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৯-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংকের সাড়ে ১৬ কোটি ডলার অনুদান

নিজস্ব প্রতিবেদক
| অর্থ-বাণিজ্য

মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য সাড়ে ১৬ কোটি ডলার অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৩৮২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মাল্টি-সেক্টর শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ খরচ করা হবে। এ লক্ষ্যে বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের অ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চ্যান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ প্রকল্পের আওতায় স্থানচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর (এফডিআরপি) মৌলিক পরিসেবাদী ও প্রবেশাধিকার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকারের প্রচলিত দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন, রাস্তা নির্মাণ, সড়কবাতি ও বজ্র-নিরোধ ব্যবস্থা স্থাপন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ, রোহিঙ্গাদের জন্য সুপেয় পানি, স্বাস্থ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন, আশ্রয় শিবিরের অভ্যন্তরে সড়ক নির্মাণ, রাস্তাঘাট নির্মাণ, ফুটপাত নির্মাণ, সেতু নির্মাণ, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ এবং সরকারের দীর্ঘমেয়াদি দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ করবে।
ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৮-৭৯, ১৯৯১-৯২ এবং অক্টোবর ২০১৬ সালেও মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক স্থানচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়। এরপরও ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। ফলে বাংলাদেশের সার্বিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জলবায়ু ও পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং স্থানীয় পর্যায়ের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হচ্ছে। এজন্য তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার একটি চিরস্থায়ী সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অনুরোধ জানান।
ড্যান ড্যান চ্যান বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। দুই বছর আগে সহিংসতার শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ আসে। রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।