রাজধানীর বিএমএ অডিটরিয়ামে বুধবার পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে মেডিকেল অফিসার পদে যোগদান করা চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও অন্য অতিথিরা ষ আলোকিত বাংলাদেশ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশে এখন কেউ না খেয়ে থাকে না। দেশে সবার জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা হয়েছে। সবার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। বাসস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে এবং সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থাও হচ্ছে। বুধবার বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) অডিটোরিয়ামে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে মেডিকেল অফিসার পদে নবযোগদানকৃত চিকিৎসক কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সরোয়ার। জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতগুলো পুরস্কার পেয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো স্বাস্থ্য সেবা। আমাদের ডাক্তার-নার্সসহ সবার কাজের স্বরূপ এ পুরস্কার অর্জন করেছি। আমাদের শিশু মৃত্যুর হার, মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। সে জন্য অবশ্যই ডাক্তার, নার্স এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানায়। তিনি বলেন, আমরা গর্বিত এ জন্য যে, বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত এবং টিটানাসমুক্ত। এসব এমনিতেই হয়নি। সবার পরিশ্রম করার ফলেই হয়েছে। সবার পরিশ্রমের ফলে দেশের স্বাস্থ্য সেবায় উন্নতি লাভ করেছে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এরপরও অনেক কিছু করার আছে। ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে ভালো শিক্ষার্থীরাই ডাক্তারি পড়ে এবং পড়ার সুযোগ পায়। ডাক্তার হতে হলে সরকারের অনেক খরচ হয়। সরকারি কলেজে থেকে যারা পড়েছেন তারা মোটামুটি বিনামূল্যে পড়েছেন। কাজেই সেই ব্যয়টা কেউ না কেউ বহন করেছেন। বহন করেছে সেই গরির-দুঃখী মানুষরাও। তাই আপনারা যেখানে যাবেন সেখানে মানুষকে সেবা দিবেন। যেখানে যাবেন সেখানে লিডার হিসেবে কাজ করবেন। লিডারশিপ কোয়ালিটি আপনাদের থাকতে হবে। প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নবীন চিকিৎসকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আজকে আপনারা আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেছেন এবং এরই মধ্য দিয়ে নতুন জীবনের যাত্রা শুরু হয়েছে। আশা করি আপনারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।