যমুনার পাড়ে হার্টপয়েন্ট এলাকায় লালনের গানে দর্শক মাতানো সিরাজগঞ্জের গানের পাখি বাউল শিল্পী ঠান্ডু বয়াতি (৬৬) আর নেই। তিনি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার কাটাওয়াবদা মহল্লায় নিজ বাড়িতে মঙ্গলবার বিকালে মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি এক ছেলে, এক স্ত্রীসহ বহু ভক্ত-শ্রোতা ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার ছেলে আলম বয়াতি সাংবাদিকদের জানান, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আমার বাবা অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার বিকালে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ, ভক্ত ও গানের শিষ্যরা তার বাড়িতে ভিড় জমায়। বাদ মাগরিব জানাজা শেষে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মালশাপাড়া কবরস্থানে তার লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়। শিল্পী ঠান্ডু বয়াতির মৃত্যুতে জেলা কালচারাল অফিসার মাহমুদুল হাসান লালন, সিরাজগঞ্জ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি হেলাল আহমেদ, সিরাজগঞ্জ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি জান্নাত আরা তালুকদার হেনরি, সিরাজগঞ্জ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ গৌর, বাউল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান মুরাদ, সিরাজগঞ্জ নাট্য ফেডারেশনের সভাপতি হীরক গুণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ভোলা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এদিকে বাউল সঙ্গীতের একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন এই ঠান্ডু বয়াতি। মঞ্চের পাশাপাশি তিনি হাটে, ঘাটে, মাঠে, ময়দানে গান গেয়েছেন।