স্বপ্নের দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে আলো ছড়িয়ে দিতেই রংপুরের বদরগঞ্জে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বাংলা স্কুল। সেখানে বিনাবেতনে পাঠদানের পাশাপাশি আইসিটিতে দক্ষতাসহ নৈতিক শিক্ষার উপর বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন বদরগঞ্জের বিদেশ ফেরত যুবক রাশেদুল ইসলাম। সমাজে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে স্কুলটির নাম দেন ‘বাংলা স্কুল’।
সরেজমিন বদরগঞ্জ পৌরশহর থেকে ১০ কিমি. দূরে দামোদরপুর ইউপির শেখপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত বাংলা স্কুলে গিয়ে কথা হয় প্রতিষ্ঠাতা রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে।
তিনি জানান, ১০ বছর আমি দেশের বাইরে ছিলাম। বিদেশে মানুষের জীবনযাত্রা ও তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দেখে আমার মনেও নিজ দেশে কিছু একটা করার স্বপ্ন জাগে। দেশে এসেই ২০১৫ সালে শুরু করি বাংলা স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এ বাংলা স্কুলে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও সচ্ছল পরিবারের শিশুরা পড়ছে। পাশাপাশি আমরা বয়স্ক নিরক্ষর ব্যক্তিদের জন্য অক্ষর জ্ঞানের ব্যবস্থা করেছি। ২২ জন নিরক্ষর বয়স্ক ব্যক্তি দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে শতাধিক নিরক্ষর ব্যক্তিকে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে ৯২ জন শিশু এখানে পাঠ গ্রহণ করছে। এখানকার শিক্ষকরাও সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পরম মমতায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান। এখানে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠ্যসূচির বাইরেও রয়েছে আইটি ক্লাস ও নির্মল বিনোদনের চর্চা।
লাকি বেগম নামে এক অভিভাবক জানান, তার ছেলে ওই স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। পাশের অন্য স্কুলের চেয়েও বাংলা স্কুলের লেখাপড়ার মান অনেক ভালো।
বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বিমলেন্দু সরকার জানান, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে আলোক বর্তিকা ছড়িয়ে দিচ্ছে বাংলা স্কুল। স্কুলটি আমার ইউনিয়নে হওয়ায় আমি গর্বিত।
দামোদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক জানান, নিরক্ষর মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও আমাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলা স্কুল তারই উদাহরণ।