ঠাকুরগাঁওয়ের দক্ষিণ বঠিনা গ্রামে ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ইরি-বোরো ধান- আলোকিত বাংলাদেশ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দক্ষিণ বঠিনা গ্রামে দুইটি ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় ৩০ একর জমির ইরি-বোরো ধানসহ আশপাশের ভুট্টা ও মরিচের জমি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েন অর্ধশতাধিক কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ বলেছে, চাষিরা যেন ক্ষতিপূরণ পান; সেজন্য তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। সদর উপজেলার দক্ষিণ বঠিনা গ্রামে কৃষি ও আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে এমএস ব্রিক্স ও শামা ব্রিক্স নামে দুইটি ইটের ভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষকের অভিযোগ, এ দুই ইটভাটা থেকে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া নির্গত হওয়ায় আশপাশের ৪১ কৃষকের ৩০ একর বোরো, ৩ একর ভুট্টা ও প্রায় ১ একর মরিচ ফসলের জমি ক্ষতি হয়েছে। ধান গাছের রং বিবর্ণ হয়ে গেছে, শীষ হয়েছে কালো। ফসলের ক্ষতি হওয়ায় কৃষকের চোখে-মুখে এখন হতাশা আর দুশ্চিন্তার ছাপ। তারা এর প্রতিকার চায়। আকচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুব্রত রায় জানান, ক্ষতিগ্রস্তরা যেন সহায়তা পায় সেই জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করেছি। সেখানে ৪১ চাষির প্রায় ৩০ একর বোরো ধানের জমিসহ ভুট্টা ও মরিচের জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন জানান, আমার আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সেখানকার ফসলের প্রায় ৯৫ শতাংশই নষ্ট হয়েছে। ইটভাটা থেকে নির্গত অ্যামোনিয়া, কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইডসহ বিষাক্ত গ্যাসের কারণে ধানের শীষ, ভুট্টার মচা, মরিচ ফসলের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুত করে কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হয়েছে। চাষিদের প্রত্যাশা, শুধু তালিকা প্রস্তুত করাই নয়, চাষিদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করাসহ ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।