এক বছরের ব্যবধানে ৬৮ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে বাংলাদেশে। ২০১৮ সালে দেশে প্রকৃত বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১৭ সালে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। খাত হিসেবে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে বিদ্যুৎ, খাদ্য ও বস্ত্র খাত। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে প্রত্যক্ষ মোট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে ১ হাজার ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে চীন। এসব অর্থের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করেছে ৮৩৪ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক খাতে ১১৩ কোটি ডলার, বস্ত্র খাতে ৪০ কোটি, ব্যবসা খাতে ১৫ কোটি ও অন্যান্য খাতে ১৮ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে চীন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেদারল্যান্ডস মোট ৬৯২ কোটি ডলার বিনিয়োগ করলেও খাদ্যে বিনিয়োগ করেছে ৬০৮ কোটি ডলার, যুক্তরাজ্য বিনিয়োগ করেছে ৩৭১ কোটি ডলার, যুক্তরাষ্ট্র ১৭৪ কোটি, সিঙ্গাপুর ১৭১ কোটি, হংকং ১৭০ কোটি, ভারত ১২১ কোটি, নরওয়ে ১০৮ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। এছাড়া মালয়েশিয়া ৯৩ কোটি, উত্তর কোরিয়া ৭৩ কোটি, মরিশাস ৬৮ কোটি, শ্রীলঙ্কা ৬১ কোটি, জাপান ৫৮ কোটি, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫৬ কোটি, তাইওয়ান ৫২ কোটি, সুইজারল্যান্ড ৪৯ কোটি, ব্রিটিশ ভার্জিন আইসল্যান্ড ৪৪ কোটি, বারমুডা ৩৭ কোটি, জার্মানি ২৬ কোটি, সুইডেন ২২ কোটি ও অন্য দেশগুলো মিলে বিনিয়োগ করেছে ১৩৭ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৫ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৯২ মিলিয়ন ডলার, ২০০৮ সালে এসে ১ বিলিয়ন অতিক্রম করলেও ২০০৯ সালে আবার ১ বিলিয়নের নিচে নেমে যায়। ২০১১ সাল থেকে বিনিয়োগ ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সাল শেষে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। প্রতিবেদন বলছে, সমমূলধন হিসেবে পাওয়া বিনিয়োগ ২০১৭ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি অর্জিত হয়েছে, পুনর্বিনিয়োগ খাত ও গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে। ২০১৭ সালের মতো ২০১৮ সালেও সর্বোচ্চ বিনিয়োগ এসেছে বিদ্যুৎ খাতে, পরের অবস্থানে রয়েছে খাদ্য ও বস্ত্র খাত।