এবার রোজার ঈদকে ঘিরে ১২ দিন দেশের সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সচিব বলেন, সিএনজি স্টেশন ঈদের আগে সাত দিন এবং পরে পাঁচ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যাতে জ্বালানির সমস্যা না হয়। প্রতিবারই এটি করা হয়। এমনিতে দেশের সিএনজি স্টেশনগুলোতে বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। ঈদের পাঁচ দিন পর থেকে আবারও আগের নিয়মে দিনে চার ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে। ২০১৯ সালের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, রমজান মাস ২৯ দিন ধরে নিয়ে ৪ থেকে ৬ জুন ঈদুল ফিতরের ছুটি নির্ধারণ করেছে সরকার। এরপর দুই দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় অফিস বন্ধ থাকবে ৮ জুন পর্যন্ত। ৪ জুন ঈদের ছুটি শুরুর আগে ২ জুন থাকবে শব-ই কদরের ছুটি। তার আগে দুই দিন শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে ছুটি শুরুর আগে মে মাসের শেষ থেকেই মহাসড়কে শুরু হয়ে যাবে ঈদযাত্রার ভিড়। এ কারণে এবার ঈদের সাত
দিন আগে থেকেই সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয় সভায়। এছাড়া ঈদের তিন দিন আগে থেকে মহাসড়কে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে সভা শেষে জানান সচিব। তিনি বলেন, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকলেও অন্যান্য বছরের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কাঁচামালবাহী বাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
ঈদ সামনে রেখে বিআরটিসি অতিরিক্ত বাসের ব্যবস্থা করবে এবং অন্যবারের তুলনায় এবার বাস বেশি থাকবে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের অবস্থা ভালো আছে। ঈদে কোনো সমস্যা হবে না। ঈদের সড়কে চাপ কমাতে ঢাকার পোশাক কারখানার মালিকদের এক দিনে ছুটি না দিয়ে ধাপে ধাপে ছুটি দিতে মালিক সমিতিকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশ মহাপরিদর্শক, হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পরিবহন-শ্রমিক-মালিক সমিতির নেতাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে অংশ নেন।