বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এক্স-রে মেশিন নষ্ট এবং টেকনিশিয়ানের অভাবে অত্যাধুনিক ইসিজি মেশিন অব্যবহৃত থাকায় যথাযথ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
জানা যায়, উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সাতজনসহ ৩১ শয্যার এ হাসপাতালে ১৭টি চিকিৎসকের পদ রয়েছে। তার মধ্যে বদলি ও প্রেষণে দায়িত্ব পালনের কারণে বর্তমানে হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ মাত্র চারজন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। আর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়োগপ্রাপ্ত তিনজন চিকিৎসক উপজেলা হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। অবশিষ্ট ৯ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রায় চার বছর আগে সরকারিভাবে হাসপাতালে একটি ইসিজি মেশিন দেওয়া হয়েছে। তবে ইসিজি টেকনেশিয়ান না থাকায় শোভাবর্ধন করা ছাড়া মেশিনটি কোনো কাজেই লাগছে না। ১২-১৩ বছর আগে হাসপাতালে একটি এক্স-রে মেশিন দেওয়া হলেও সেটি শুরু থেকেই অকেজো অবস্থায় রয়েছে। ফলে একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিও) বসে বসে বেতন নিলেও দীর্ঘ সময়ে মেশিনটি দিয়ে একজন রোগীরও এক্স-রে করা সম্ভব হয়নি। একটি অ্যাম্বুলেন্স প্রায় এক যুগ ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতালের ১৬ জন স্বাস্থ্য সহকারী, একমাত্র ক্যাশিয়ার, হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র মেকানিক্স ও একজন বাবুর্চির পদ শূন্য রয়েছে। হাসপাতালের ডর্ক্টস কোয়ার্টারের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটি, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের কোয়ার্টারের আটটির মধ্যে ছয়টি ও নার্স কোয়ার্টারের তিনটির মধ্যে একটি ইউনিট দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের টয়লেট দীর্ঘদিন ধরে অকেজো থাকায় মহিলা রোগীরা বাধ্য হয়ে পুরুষ ওয়ার্ডের টয়লেট ব্যবহার করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. পরিতোষ কুমার বলেন, চিকিৎসক সংকট থাকলেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে চিকিৎসাসেবা চালু রাখা হয়েছে। এক্স-রে মেশিনটি একেবারেই বিকল, নতুন মেশিন বরাদ্দ ও শূন্য পদের বিপরীতে চিকিৎসক চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। টেকনিশিয়ান পেলে ইসিজি সেবা চালু করা হবে।