আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১০-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

২০২২ সালের মধ্যে জলাতঙ্কমুক্ত হবে বাংলাদেশ

| শেষ পাতা

রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ষ পিআইডি


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক ব্যাধি যা একবার হলে মৃত্যু অনিবার্য। সাধারণত কুকুরের কামড় থেকেই ৯০ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয়। কিন্তু কুকুর আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে ও ভীষণ প্রভুভক্ত প্রাণী বিধায় কুকুর হত্যা করাও সম্ভব নয়। এ অবস্থায় জলাতঙ্ক রোগ যাতে না হতে পারে এবং কুকুরকেও যাতে হত্যা না করতে হয় তার জন্য কুকুরকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে দেশ থেকে জলাতঙ্ক সমস্যা একেবারে নির্মূল করা সম্ভব হবে। আজকের এ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনের মাধ্যমে আশা করা যাচ্ছে ২০২২ সালের মধ্যেই গোটা দেশ থেকে কুকুরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করা সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর 
ফার্মগেট খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম’ এর উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
উল্লেখ্য, এ কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ১২ লাখ ৩৮ হাজার কুকুরকে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হয়েছে। ১৪ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ডে ব্যাপকহারে কুকুরের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান এবং এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। জলাতঙ্ক রোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে বর্তমানে প্রায় ১৬ লাখ কুকুর রয়েছে। এ কুকুরগুলোর মধ্য থেকে শতকরা ১ ভাগ কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। কুকুর ছাড়াও বিড়াল, বেজি, শিয়াল বা বানরের কামড়েও জলাতঙ্ক হতে পারে।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক এবং প্রখ্যাত লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. উম্মে রুমান সিদ্দিকী, ডেপুটি প্রোগাম ম্যানেজার, জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা পরিচালক, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এবং কুকুরের কামড় হ্রাসে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ, চেয়ারপারসন, রেবিস ইন এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং সাবেক পরিচালক, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি