আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১০-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

কাপ্তাই হ্রদে বেড়েছে রাজস্ব আয়

মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
| দেশ

কাপ্তাই হ্রদ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) ১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলাশয় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ আয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে আয় ছিল ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। মৎস্য আহরণ হয় রেকর্ড ১০ হাজার ৫৮৭ মে. টন। গত বছর ছিল ১০ হাজার ১৫২ মে. টন। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫-৬৬ অর্থবছরে মাত্র ১২০৬.৬৩ মে. টন মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে ৬ হাজার ৪৮১ বর্গমাইলের কাপ্তাই হ্রদে বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য উৎপাদন শুরু হয়। মৎস্য ব্যবস্থাপনায় বিএফডিসি কর্তৃক বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে হ্রদের মৎস্য উৎপাদন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৪-১৫ সালে ৮৬৪৪ মে. টন মাছ আহরণের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫-১৬ সালে ৯৫৮৯ মে. টন মাছ আহরণের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ সালে ৯৯৭৪ মে. টন মাছ আহরণের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। বছরের পর বছর রাজস্ব আয়ের পেছনে বিএফডিসি মৎস্য প্রজনন মৌসুমে অবৈধ মৎস্য আহরণ ও পাচার রোধ, মৎস্য আইন বাস্তবায়ন, কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তি এবং অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) গবেষণায় এ বছর বন্ধ মৌসুমে মা মাছেরা রেকর্ডসংখ্যক ডিম ছেড়েছে। রাঙ্গামাটি (বিএফডিসি) কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার পেছনে মূল কারণ ছিল গণহারে অবৈধ ঝাঁক অপসারণ, কঠোর নজরদারি, ব্যবসায়ী ও জেলেদের সহযোগিতা এবং হ্রদের নাব্যতা হ্রাস না পেলে রাজস্ব আয় আরও বাড়ত বলে তিনি ধারণা করেন।