আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১০-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

বাগেরহাটে ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধ মেরামত শুরু

ইয়ামিন আলী, বাগেরহাট
| দেশ

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বগী গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধের ভাঙনকবলিত স্থান মেরামত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল থেকে ভাঙনকবলিত দুইটি স্থানে স্কাভেটর দিয়ে মাটি দেওয়ার পাশাপাশি বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে ভাঙনের স্থানে। 
এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভাঙনের ২০ মিটার দূর থেকে নতুন করে মজবুত রিং বেড়িবাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। যাতে বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানি মানুষের বাড়িতে ঢুকতে না পারে। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘটে যাওয়া সিডরের পর এলাকাবাসীর দাবি ছিল বলেশ্বর নদীর তীরঘেঁষে গড়ে ওঠা বসতি গ্রামগুলো বাঁচাতে একটি টেকসই বেড়িবাঁধ। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কোস্টাল ইমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (সিইআইপি) নামে প্রকল্পের আওতায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাগেরহাটের উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ৩৫/১ পোল্ডারে আওতায় ৬৩ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ ২০১৬ সালে জানুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় বাঁধের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভেঙেছে। 
তারপরও নদী শাসন না করে বাঁধের কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সিইআইপি কর্তৃপক্ষ। কোস্টাল ইমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (সিইআইপি) কনসাল্টেন্ট শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, ফণীর প্রভাবে বেড়িবাঁধের তিনটি স্থান ভেঙে যায়। পানির চাপ কমলে ভাটির সময় দুইটি পয়েন্টে বালুর বস্তা ও স্কাভেটর দিয়ে মাটি ফেলে পানি ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছি। অন্যটি বৃহস্পতিবার শেষ করে দিব। এরপর বৃষ্টি মৌসুমে যাতে লোকালয়ে পানি ঢুকতে না পারে, সেজন্য ভাঙনের স্থান থেকে লোকালয়ের দিকে ২০ মিটার দূরে একটি রিং বাঁধ করার কাজ শুরু হয়েছে। সিইআইপি প্রকল্পের ডেপুটি টিম লিডার হাবিবুর রহমান বলেন, ৩৫/১ পোল্ডারে আওতায় ৬৩ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ ২০১৬ সালে জানুয়ারি মাসে নির্মাণ শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বগী এলাকার যে অংশে প্রায় ভাঙন দেখা দেয়, সেখানে নদী শাসনের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। 
প্রস্তাবনাটি পাস হলে ওই এলাকায় নদী শাসনের কাজ করা হবে। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জাম্মান খান বলেন, শরণখোলা ৩৫/১ ফোল্ডারের ভাঙন কবলিত জায়গা আমি সরেজমিন পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বাঁধ মেরামত করে মানুষের বাড়িঘরে পানি ঢোকা বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছি।