নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছোট ভাইয়ের ইটের আঘাতে বড় ভাই রানা খুন হয়েছেন। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি লাশ দাফন করে ফেলেছেন স্বজনরা। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার সুপারিশে পুলিশও নেয়নি কোনো আইনি পদক্ষেপ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, ভোলাবো ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে রানা মিয়া (১৮) পার্শ্ববর্তী ডাঙ্গা বাজারে ভগ্নিপতি হুমায়নের চালের দোকানে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে সে দোকান থেকে বাড়ি ফিরলে তার বাবা-মা রানার কাছে নালিশ করেন তার ছোট ভাই সাজন দিনভর দুষ্টুমি করে বেড়ায়। রানা ছোট ভাই সাজনকে শাসন করতে গেলে মেজ ভাই রাজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে রাজন ইট এনে বড় ভাই রানার মাথায় আঘাত করে। এতে তাৎক্ষণিক জ্ঞান হারালে লোকজন রানাকে রাজধানীর আশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার নির্দেশে শুক্রবার খুব ভোরে অতি গোপনে জানাজা শেষে রানার লাশ দাফন করা হয়। সকালে হত্যাকা-ের ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নিহতের স্বজনরা তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা ও অসদাচরণ করেন। পরে পুুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভগ্নিপতি হুমায়নকে ভোলাবো ফাঁড়িতে নিয়ে এলেও কিছুক্ষণ পর অজ্ঞাত কারণে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় কোনো ধরনের পুলিশি পদক্ষেপও নেয়নি তারা। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, হত্যাকা-ের খবর পেয়ে আমিসহ সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। ছোট ভাই রাজন বড় ভাইকে ধাওয়া করেছে এ ব্যাপারটার সত্যতা আছে, তবে পরিবারের দাবি রাতে ডাব পারতে গাছে উঠলে সেখান থেকে নলকূপের পাশে পড়ে গিয়ে রানার মৃত্যু হয়। এ কারণে পুলিশ আর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।