আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

মৌলভীবাজারে আলো বিলাচ্ছে আড়াই শতাধিক ফেরিওয়ালা

সৈয়দ ছায়েদ আহমদ, মৌলভীবাজার
| দেশ

মৌলভীবাজারে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎসেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন আড়াই শতাধিক আলোর ফেরিওয়ালা -আলোকিত বাংলাদেশ

মৌলভীবাজার জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে ঘরে ১০৫টি টিমে আলো বিলাচ্ছেন আলোর ফেরিওয়ালারা। বুধবার সকাল থেকে জেলার সাত উপজেলার পাঁচটি অফিসের মাধ্যমে আলোর ফেরিওয়ালা মিটারিং কার্যক্রমের সেবামূলক কাজে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সরঞ্জামবোঝাই ১০৫টি ভ্যান, টমটম, রিকশা ও মোটরসাইকেলে করে অফিস থেকে বের হন। পরে ১০৫টি দলে ভাগ হয়ে প্রায় আড়াই শতাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী, লাইনম্যান, ইলেকট্রিশিয়ান, ম্যাসেঞ্জার, লেবারসহ বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন পৌঁছে যান প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামে। আর এসব কার্যক্রম সঙ্গে থেকে তদারকি করছেন মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী শিবু লাল বসু। তার সঙ্গে কাজ করছেন জুনিয়র প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, এজিএম সৌরভ পাল (সদস্যসেবা), পাওয়ার ইউজ কো-অর্ডিনেটর হাবিবুর রহমান ও মেম্বার সার্ভিস কোÑঅর্ডিনেটার রতন কৃষ্ণ চৌধুরীসহ আরও অনেক কর্মকর্তা। কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গ্রাহক হয়রানি রোধ ও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতেই তারা কাজ করে চলেছেন। বিশেষ করে রমজান মাসে যাতে কোনো মানুষ বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে না পড়েন। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী শিবু লাল বসু বলেন, তাদের এ কার্যক্রমটি আরও আগেই শুরু হওয়ার কথা ছিল। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে একটু বিলম্ব হয়েছে। নতুন সংযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে একসময় তার বিভাগের অনেক বদনাম শোনা যেত। সংযোগ নিতে গ্রাহকরা অফিসে আবেদন জমা দিয়ে সময় ব্যয়সহ হয়রানির শিকার হতো। এগুলো থেকে তাদের বাঁচাতেই আজ বিদ্যুতের ফেরিওয়ালারা নিরলসভাবে কাজ করছেন। স্পটে ওয়্যারিং সম্পন্ন করে তাদের কাছে আবেদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জমানতের অর্থ জমা দিলেই ৫ মিনিটের মধ্যে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ। তিনি সরেজমিন সঙ্গে থেকে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন।