রংপুরের তারাগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। এতে ডায়াবেটিস রোগীরা হতাশায় ভুগছেন। ২০১২ সালে প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য করে ৬০ সদস্য নিয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। সমিতির উদ্বোধন করেন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. লাইক আহমেদ। পরে এর সদস্য সংখ্যা ১৫০-এর বেশি হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয় তারাগঞ্জ পুরাতন হাসপাতালে। কিন্তু কয়েক মাস পরই এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সরেজমিন দেখা গেছে, সমিতির সাইনবোর্ডটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে, মাঠ রিকশা-ভ্যান, মাইক্রোবাস ও পিকআপ স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীরা হাতের কাছে চিকিৎসা না পেয়ে দূরদূরান্তে ছুটতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে সময় ও ব্যয় বেড়েছে। আলহাজ আবদুল মান্নান, সাইফুল, রেজাউল, বাবুলসহ কয়েকজন আজীবন সদস্য বলেন, হাতের কাছে নিজে চিকিৎসা পাব, গরিব-অসহায় রোগীরা সেবা পাবেনÑ এজন্য ৫ হাজার টাকা দিয়ে সদস্যপদ নিয়েছিলাম। এখন দেখছি, গরিব মানুষের চিকিৎসা তো দূরের কথা, সদস্য আমরাই চিকিৎসাসেবা পাচ্ছি না। ওই সময়ের আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করার পর পরিচিতি অনুষ্ঠান করার দুই মাসের মধ্যে এর কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিনেও আর কার্যক্রম সচল হচ্ছে না। উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ হায়দার বলেন, তারাগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির ভবন নির্মাণে বরাদ্দ টাকা উত্তোলন করে ইউএনও ও আমার যৌথ অ্যাকাউন্টে রাখা আছে। ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে টাকা প্রদান করা হবে। তারাগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, ডাক্তার না থাকায় আপাতত সমিতির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে খুব শিগগির সমিতির কার্যক্রম চালু করার চেষ্টা চলছে।