রংপুর নগরীতে জেব্রা ক্রসিং নেই বললেই চলে। যাও আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারী। আরপিএমপি ট্রাফিক বিভাগ বলছে, এটি সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব, আবার সিটি করপোরেশন বলছে সড়ক ও জনপদের দায়িত্ব। সমস্যার সমাধান না করে একে অপরের কাছ থেকে দায়িত্ব সরে নিতেই ব্যস্ত। নগরীর মেডিকেল মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, চেকপোষ্ট, প্রেসক্লাব, শাপলা চত্বর, কারমাইকেল কলেজ, মডার্ন মোড়, সাতমাথাসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোর সামনে জেব্রাক্রসিং ও কাচারি বাজার, সিটি বাজার, জাহাজ কোম্পানি মোড়, টার্মিনালসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ জরুরি। সরেজমিনে দেখা যায়, রংপুর নগরীর জিলা স্কুল, বেরোবিসহ কিছু সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ও জনবহুল এলাকায় গতিরোধক ও শুধু সাদা রং দেওয়া, অথবা গতিরোধক ও সাদা রং দেওয়া দুটোই রয়েছে। নগরীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কারমাইকেল কলেজসহ অধিকাংশ স্কুল কলেজের সামনে নেই গতিরোধক ও জেব্রাক্রসিং। জনসমাগমস্থল এসব এলাকাগুলোতেও জেব্রা ক্রসিং, গতিরোধক, ফুটওভারব্রিজ কোনোটাই নেই। আর যেসব আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই পথচারীদের এলোমেলোভাবে যানবাহনের ফাঁকে ঝুঁকি নিয়েই সড়ক পারাপার হতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, রংপুরে জেব্রা ক্রসিং নেই বললেই চলে। ৩-৪ টি জায়গায় আছে। সিটি করপোরেশন ও সড়ক বিভাগ চিহ্নিত করবে কোথায় হবে জেব্রা ক্রসিং। রংও তারাই করবে। তারা সে মোতাবেক কাজ করবে। এ বিষয়ে তাদের করণীয় কিছু নেই। রংপুর সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন জানান, জনসাধারণের নিরাপদে চলাচলের জন্য জেব্রাক্রসিং খুবই দরকার। এখন যেহেতু মহানগর তাই ট্রাফিক সাইনও দরকার। বড় বড় রাস্তায় এটা বেশি দরকার আর এগুলো সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতায় বিধায় জেব্রাক্রসিং, গতিরোধকসহ অন্য বিষয়গুলো তারাই দেখবে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের কিছু করার নেই। সিটি করপোরেশনের আওতাধীন রাস্তাগুলোতে প্রয়োজন বোধে স্থানীয় কাউন্সিলরের সুপারিশের মাধ্যমে জেব্রাক্রসিং দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, রংপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ তিনটি প্রতিষ্ঠান পাশাপাশি, তাই এখানে একটি, সিটি বাজার অথবা জাহাজ কো¤পানি মোড়ে একটি ও টার্মিনালে একটি ফুটওভার ব্রিজ অতীব জরুরি। তারা ফুটওভারব্রিজের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই মধ্যে ডিজাইনও স¤পন্ন করেছেন। জনবল স্বল্পতার কারণে করতে পারছেন না।
