চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেত্রী তিনি। আবার অনেকেই তাকে শক্তিমান অভিনেত্রীও বলে থাকেন। যে কোনো চরিত্রে অরুণা বিশ^াস অনায়াসে অভিনয় করতে পারেন। আর তাই তাকে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রগুলোতেই অভিনয়ে বেশি দেখা যায়। তবে অভিনয় জীবনের পথচলায় চলতি বছরটা যেন তার জীবনে নতুন এক সাফল্যের সূচনা সৃষ্টি করেছে। চলতি বছরেই তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের একজন সম্মানিত সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। একজন চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী হিসেবে বিষয়টি অনেক সম্মানের, গৌরবের। অরুণা বিশ^াস অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হতে পারেননি, তাতে কোনো দুঃখ নেই। এ দেশের সিনেমাপ্রেমী দর্শক তাকে ভালোবাসেন, তার অনেক অনেক প্রমাণ পেয়েছেন তিনি। দেশে-বিদেশে তার অগণতি ভক্ত যেন তারই প্রমাণ দেয়। তিনি যে একজন গুণী এবং সম্মানিত চলচ্চিত্রাভিনেত্রী, সেন্সর বোর্ডের সম্মানিত সদস্য হয়ে যেন তারই প্রমাণ দিয়েছেন। নন্দিত এই অভিনেত্রী এরই মধ্যে নেপালে অরুণ চৌধুরীর নির্দেশনায় দুটি নতুন সিনেমার কাজ শেষ করে এসেছেন। একটি সিনেমার নাম ‘আলো’ এবং অন্যটির নাম ‘ভালোবাসার উত্তাপ’। দুটি সিনেমাতেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলে জানান তিনি। অরুণা বিশ^াস বলেন, ‘এর আগে অরুণ দাদার নির্দেশনায় মায়াবতী সিনেমায় অভিনয় করেছি। এটি এখনও মুক্তি পায়নি। এরই মধ্যে দাদার নির্দেশনায় আরও দুটি সিনেমায় অভিনয় করা হলো। দুটি সিনেমারই গল্প খুব সুন্দর। আশা করছি সব মিলিয়ে দুটি সিনেমাই খুব ভালো হবে।’ এদিকে অরুণা বিশ^াস নিয়মিত অভিনয় করছেন এটিএন বাংলায় প্রচার চলতি ধারাবাহিক ওয়ালিদ পরিচালিত ‘জলে ভেজা রং’-এ। রুমানের নির্দেশনায় তিনি ‘বংশের চাবি’ নামে নতুন একটি ধারাবাহিক নাটকের কাজও শুরু করেছেন। এদিকে গেল বছরের বিজয় দিবসে অরুণা বিশ^াস ‘একজন জয়নব বিবি’ নামের একটি নাটক নির্মাণ করেন। তবে অরুণা বিশ^াস বলেন, ‘সত্যি বলতে কী, অভিনয়ে তো দীর্ঘ একটা সময় পার করে এসেছি। নাটক নির্মাণও করেছি। কিন্তু এখন আমার স্বপ্ন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করার। বিষয় আমার ভাবনায় আছে। সময় হলেই সবাইকে জানান দিয়েই চলচ্চিত্র নির্মাণ করব। আমার বিশ^াস আমার শুভাকাক্সক্ষীরা আমার পাশে থাকেবেন।’
