ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে শুক্রবার যাত্রীদের হাতে ইফতারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় ষ আলোকিত বাংলাদেশ
চতুর্থ রমজান শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা। ইফতারের বাকি ৩৫ মিনিটের মতো। এরই মধ্যে রাজধানীর শাহবাগের মোড়ে মিরপুর ১২ টু সদরঘাট রুটের একটি বাস এসে থামে। বাসটি থামার পরপরই দেখা গেছে, কয়েকজন লোক বাসের জানালা দিয়ে একটি খাঁকি রঙের কাগজের প্যাকেট যাত্রীদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। প্যাকেটের ওপরে রয়েছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের লোগো এবং ভেতরে ইফতার সামগ্রী।
ইফতার বিতরণ কার্যক্রমে ছিলেন মো. সোহাগ। তিনি বলেন, প্রথম রমজান থেকেই রাজধানীর শাহবাগ ও শুক্রাবাদ এলাকায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। ধনী-গরিব নির্বিশেষে রাস্তাঘাটে চলাচলরত রোজাদারদের
এভাবেই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে ঢাকা আহ্্ছানিয়া মিশন। বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, অটোরিকশা, রিকশাচালক এবং পথচারীরা এ কর্মসূচির আওতায় থাকছেন। ছিন্নমূলরাও ভিড় করছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের দেওয়া এ ইফতার নিতে। মো. সোহাগ আরও জানান, বাসযাত্রী এবং পথচারীদের মধ্যে অনেকেরই গন্তব্যে পৌঁছার আগেই ইফতারের সময় হয়ে যায়। ফলে ইফতার করতে পারে না। তাদের জন্যই ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন এ ইফতারের আয়োজন করেছে। তিনি বলেন, প্রতিদিন শাহবাগ ও শুক্রাবাদ এলাকায় ৫০০ প্যাকেট করে বিতরণ করা হচ্ছে। আগামী রমজানেও এই এলাকাগুলোতেও বিতরণ চলবে। প্রতিটি প্যাকেটে বিশুদ্ধ পানি, খেজুর, বিস্কুট, বনরুটি দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে ইফতার বিতরণ কার্যক্রমে শাহবাগ এলাকায় ৪ জন এবং শুক্রাবাদ এলাকায়ও ৪ জন কাজ করছেন। শাহবাগ থেকে মিরপুরগামী রাইহান আহমেদ নামের এক পথচারী জানান, প্রথমেই অন্যকিছু মনে করেছিলাম। পরে দেখলাম ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে পথচারীদের ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। গন্তব্যে পৌঁছার আগেই ইফতারের সময় হয়ে যাবে, তাই এক প্যাকেট ইফতারি নিয়ে নিয়েছি। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের এ ধরনের উদ্যোগকে তিনি ধন্যবাদ জানান।