সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর চরে এ বছর প্রায় ১৭ হাজার ১৪৩ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। প্রমোধনার কর্মসূচির আওতায় ১১ হাজার ৪০০ কৃষকের মধ্যে ৩০০ বিঘা জমির বাদামের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করে কৃষি অফিস। প্রতি বছরই উপজেলার, ওমারপুর, সোদিয়াচাঁদপুর, স্থল খাষকাউলিয়া ও খাসপুকুরিয়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর চরে বাদামের চাষ হয়। এছাড়া চারটি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কিছু জমিতেও বাদাম চাষ করা হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় বাদামচাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। যমুনা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। বাদাম চাষে চাষিদের বাড়তি খরচ নেই বললেই চলে। তাই দিন দিন যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে বাদাম চাষে ক্রমেই ঝুঁকছে চাষিরা। স্থানীয় বাদাম চাষিদের ভাষ্যমতে, চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে বাদামের ফলন বেশ ভালো হচ্ছে। সেচ ও নিড়ানি ছাড়াই স্বল্পখরচে বাদামের জমিতে সামান্য সার ও কীটনাশক প্রয়োগে ফলন বেশ ভালো পাওয়া যায়। সোদিয়াচাঁদপুরের চাষি আবদুল হামিদ জানান, বাদাম চাষে শুধুই লাভ। বেলে দোআঁশ মাটিতে অধিক তাপমাত্রা, পর্যাপ্ত সূর্যের আলো ও মাঝারি বৃষ্টিপাত পেলে চিনাবাদামের ফলন ভালো হয়। বাজারে বাদামের চাহিদা থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছে চাষিরা। ফলে গত কয়েক বছর ধরে বাদাম চাষিরা একে অপরের দেখাদেখিতে লাভজনক বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছে। চৌহালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর যমুনার চরে বিঘাপ্রতি ১৪ থেকে ১৫ মণ বাদাম উৎপাদন হয়। চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে লাভজনক বাদাম চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাদাম চাষিদের পরামর্শ ও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতা পাওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে বাদাম চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে স্থানীয় চাষিরা। এ সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জেরিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, অত্র চরাঞ্চলের মাটি তথা আবওহাওয়া চিনা বাদাম চাষের জন্য উপযোগী। বাঘুটিয়া, উমারপুর, স্থল, ঘোড়জান প্রভৃতি এলাকায় অত্র অফিস হতে সব কৃষককের মধ্যে উন্নত জাতের চিনা বাদামের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষক ভাইরা এতে অধিক ফলন পাচ্ছে। এতে কৃষক দিন দিন চিনা বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছে।