আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

বাঘায় মাদক ব্যবসায়ীর দুই গ্রুপে ‘গোলাগুলি’ নিহত ১

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
| শেষ পাতা

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে ‘গোলাগুলি’তে একজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রহমানের মোড় থেকে কেশবপুর বাজারগামী পাকা রাস্তার উত্তর পাশে হামিদুল ইসলামের আমবাগানে বৃহস্পতিবার রাতে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, নিহত 

ব্যক্তির নাম জিয়ারুল ইসলাম ওরফে কালু। তিনি উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। কালু মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী জানান, রাত সোয়া ২টায় পুলিশের কাছে খবর আসেÑ ওই জায়গায় মাদক ব্যবসায়ীর দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়। ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল সদর) সুমন দেব, সিনিয়র পুলিশ সুপার (চারঘাট সার্কেল) নূরে আলম, ওসি মহসীন আলী, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক খালেদুর রহমানসহ ৯ জন আহত হন। মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কালুকে উদ্ধার করে বাঘার স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিনসহ ২ রাউন্ড গুলি ও ৫৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা একই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কালুর স্ত্রী ইসমা বেগম দাবি করেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে কিশোরপুর এলাকা থেকে তার স্বামী ও ব্যবসায়ী পার্টনার চান্দু মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিল। পথে গোকুলপুর এলাকার হাজরাপাড়া বালুরঘাট এলাকায় গতিরোধ করে সাদা পোশাকধারী চারজন লোক মোটরসাইকেলে তাদের তুলে নিয়ে যান। এ সময় তার স্বামীর মোটরসাইকেলটি ফেলে রেখে যান। স্থানীয় সোলেমান দেওয়ানের ছেলে রানা দেওয়ানের মাধ্যমে এ খবর পেয়ে আরেক ব্যবসায়ী পার্টনার নজমুল সাজি সেখান থেকে মোটরসাইকেলটি নিয়ে আসেন। চান্দুর মাধ্যমে খবর জেনে পরদিন তিনি এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি মহসীন জানান, খোঁজ করে দেখেন তাকে পাওয়া যায় কি না। খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে তিনি নিহতের খবর পান।