আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেইসবুকে ট্রল

জাবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

জাবি প্রতিনিধি
| খবর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ট্রল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। শুক্রবার জাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামজা রহমান অন্তর এ অভিযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ফাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বিকৃতি এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ছাত্রী ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়ার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। 

জানা যায়, অভিযুক্ত ফাহিম হোসেন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের একটি ছবি শেয়ার করে উল্লেখ করেন, ‘আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ইফতারের সামনে হাজির হয়েছি।’ তারপর লেখেন, ‘আলুর চপ কই?’ ‘আজকে বানাই নাই।’ ফেসবুকে এ পোস্ট করার পর মুহূর্তের মধ্যে পোস্টটির স্কিনশর্ট শেয়ার করে অনেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফাহিম হোসেন বলেন, ‘আমি খুবই লজ্জিত ও দুঃখিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে এমন পোস্ট করা মোটেও ঠিক হয়নি। আমি নিজেও বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করি। উনার মতো মহৎ ব্যক্তিকে ছোট করার কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল না। আমি সরল মনে পোস্টটি শেয়ার করি। তারপরও আমি দুঃখিত, আমাকে ক্ষমা করবেন।’ 
এদিকে ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়ার বিরুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করার দায়ে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে চূড়া বলেন, কাউকে ব্যঙ্গ করার উদ্দেশ্যে লেখা পোস্ট করা হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানহানির জন্য লেখার প্রশ্নই ওঠে না। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক দিপু বলেন, অভিযোগ নেয়া হয়েছে। তবে তা এখনও মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। তার ভাষণ নিয়ে ট্রল করা দুঃখজনক ও হতাশাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।