আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ব্যবসায়ীদের পাশে এমপি বাদশা

রমজানে শুক্রবারও খোলা থাকবে রাজশাহীর মার্কেট

রাজশাহী ব্যুরো
| খবর

সম্প্রতি রাজশাহী মহানগরীর ফুটপাতসহ সরকারি জায়গায় থাকা ছোট ছোট দোকান উঠিয়ে দিয়েছে সিটি করপোরেশন। ফলে ফুটপাতের অনেক কাপড়ের দোকানিরা আশ্রয় নিয়েছেন নগরীর গণকপাড়া এলাকার একটি মার্কেটে। উচ্ছেদের পর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুক্রবারও দোকান খোলা রাখছেন তারা। কিন্তু শ্রম আইন লঙ্ঘন হচ্ছে বলে সেখানে অভিযান চালাতে যান কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ নিয়ে গণকপাড়া এলাকায় সৃষ্টি হয় জটলা। বিষয়টি লক্ষ্য করে গাড়ি থেকে নামেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে দেন।

এর আগে ফজলে হোসেন বাদশা সেখানে গেলে ব্যবসায়ীরা তাকে বলেন, ফুটপাত থেকে উচ্ছেদের ফলে তারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তারা শুক্রবারও মার্কেট খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অতিরিক্ত পরিশ্রম করে তারা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চান; কিন্তু শ্রম আইন লঙ্ঘন হচ্ছে বলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের দোকান বন্ধ রাখতে বলছেন। একইসঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে। এ সময় ফজলে হোসেন বাদশা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষের জন্যই আইন। উচ্ছেদের ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন ঈদ উপলক্ষে ভালো ব্যবসা হওয়ার আশায় তারা শুক্রবারও দোকানপাট খোলা রাখতে চাইছেন। মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের দোকান খুলতে দেওয়া উচিত। এ সময় অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ফিরে যান। ব্যবসায়ীরা আবার বেচাকেনা শুরু করেন। তারা সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ব্যবসায়ীদের অনেকেই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন; কিন্তু সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানের পর তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এখন তারা গণকপাড়া এলাকায় দোকান খুলে আবার উঠে দাঁড়াতে চাইছেন। ঈদের আগে রোজায় ভালো বিক্রি হওয়ায় শুক্রবারও তারা দোকান খুলতে চাইছেন। এভাবে অতিরিক্ত পরিশ্রম করে তারা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চাইছেন। তাই ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে; যেন তারা একটু লাভবান হয়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন। ঈদ পর্যন্ত তারা শুক্রবারও দোকানপাট খুলতে পারবেন।