দুই জেলায় বৃহস্পতিবার রাতে শিশু ও তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জে ৬ বছরের শিশু এবং ফরিদপুরে তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের খবরÑ
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) : বোয়ালমারীতে ১৯ বছর বয়সি এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তিনজনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন ওই তরুণী। পুলিশ এজাহারভুক্ত তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছে। ওই তরুণী, মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার মাস ধরে সালথা উপজেলার এক গ্রামের ওই তরুণীর সঙ্গে বোয়ালমারীর বনচাকী গ্রামের ছবর শেখের ছেলে মো. ইউসুফ শেখের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৮ মে ইউসুফ তাকে বিয়ে করার কথা বলে মোবাইল ফোনে পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া বাজার এলাকায় আসতে বলে। ওই তরুণী বাজারে আসার পর ইউসুফ তাকে নিয়ে হাবুল শেখের ছেলে মেহেদী হাসানের বাড়িতে তোলে। ওইদিন রাতে ইউসুফ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখে। পরের দিন বনচাকী গ্রামের আকমল বিশ্বাস ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এসব ঘটনা ওই তরুণী মেহেদীর ফুপাতো ভাইয়ের মাধ্যমে বোয়ালমারী থানায় জানায়। পুলিশ মেহেদীর বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে এবং ইউসুফ ও মেহেদীকে আটক করে। ওই তরুণী ইউসুফ, মেহেদী ও আকমলকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ওসি একেএম শামীম হাসান জানান, ওই তরুণীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ইউসুফ ও মেহেদীকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ : টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে সে ধর্ষণের শিকার হয়। তাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধর্ষকের মা সাহেদা বেগম, বোন রুমাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মিল্টন ফকির পলাতক রয়েছে। টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি একেএম এনামুল কবীর জানান, মিল্টনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার শিশুর মা জানান, মেয়েকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন আগে উপজেলার কুশলী মধ্যপাড়া গ্রামে ভাইয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। ঘটনার দিন তিনি ইফতারি শেষে পাশের বাড়িতে পানি আনতে যান। এ সময় তার মেয়ে বাড়ির উঠানে খেলছিল। বাড়িতে আর কেউ না থাকার এ সুযোগে তার চাচাত ভাই হাসেম ফকিরের ছেলে মিল্টন মেয়েকে ডেকে তাদের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় কাউকে এ ঘটনা না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। তিনি আরও জানান, পানি নিয়ে ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি করেন। তখন সে ওই কক্ষ থেকে কান্নাকাটি করতে করতে বেরিয়ে আসে এবং ঘটনাটি খুলে বলে। ওই শিশুর মামা আশিক ফকির জানান, পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ভাগ্নিকে প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।