রোজাদারকে দিনের অর্ধেকেরও বেশি সময় না খেয়ে থাকতে হয়। অনেক রোজাদার আবার ইফতারি, রাতের খাবার বা সাহরির খাবার খান অতিরিক্ত। কেউ কেউ আবার রাতের কিংবা সাহরির খাবার খান না। ফলে খাবারের এ তারতম্যের জন্য হতে পারে স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা। রোজাদারের প্রয়োজন কম বা বেশি নয়, খাবার খাওয়া উচিত পরিমিত। পুষ্টিবিদ আকতারুন্নাহার আলো বলেন, ঐতিহ্যগতভাবেই আমাদের ইফতারের আয়োজনে ভাজাপোড়া বেশি থাকে। আর এ ভাজাপোড়ায় তেলের ব্যবহার বেশি হয়। কিন্তু তেলের খাবারে পেট যেমন খারাপ করতে পারে, তেমনি এতে শরীরের ওজনও বেড়ে যায়। তাই ইফতার, রাতের খাবার বা সাহরির খাবারে কম তেল ব্যবহার করা স্বাস্থ্যসম্মত। এছাড়া রমজানে বাসি খাবার খাওয়া একদমই ঠিক নয়। অনেকে আবার খাবারে বেশি ঝাল বা অতিরিক্ত মশলার খাবার পছন্দ করেন। কিন্তু বেশি ঝাল বা বেশি মশলার খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ঠিক নয়। সেজন্য প্রয়োজন রমজানে বেশি ঝাল বা বেশি মশলার খাবার একেবারেই ত্যাগ করা।
কেউ কেউ ইফতারিতে বেশি বেশি খান। ভাবেন সারাদিন না খেয়ে আছি, তাই ইফতারে তা পুষিয়ে নিই। কিন্তু এটা মোটেও ঠিক নয়। কারণ সারাদিন না খেয়ে হঠাৎ ইফতারে বেশি খেলে শরীর খারাপ করার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। এতে বদহজম বা ডায়রিয়ার মতো রোগ হতে পারে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যসম্মত ইফতারে খেজুরসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল রাখাটা খুবই জরুরি। সঙ্গে বেশি বেশি পানি বা শরবত জাতীয় খাবার। অনেকে তারাবি পড়ে রাতের খাবার খান না। ভাবেন সাহরি খেয়েই রোজা রাখবেন। আবার কেউ সাহরিতে অল্প খান। এসব মোটেও ঠিক নয়। অল্প হলেও রাতের খাবার এবং সাহরিতে পরিমিত খেতে হবে। মোটকথা অন্যসময় যেমন তিন বেলা খাই, তেমনি রমজানেও তিন বেলাই খাওয়াটা স্বাস্থ্যসম্মত। এসবের পাশাপাশি অন্য সময় দুধ না খেলেও রমজানে সাহরির সময় দুধ খাওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আর দুধের পাশাপাশি রমজানে পানি, পানি জাতীয় তরল খাবার, শরবত বেশি বেশি খেতে হবে। এছাড়া যারা চা-কফি খান তারা সেটাও খাবেন পরিমিতভাবেই। সর্বোপরি রমজানে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কম বা বেশি নয়, খেতে হবে পরিমিত এবং তিন বেলাই।