আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

আবাহনীর ২৮ ধাপ উন্নতি

এশিয়ার ক্লাব র‌্যাঙ্কিং

স্পোর্টস রিপোর্টার
| খেলা

চেন্নাই থেকে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারলে গ্রুপে ভালো অবস্থানে থাকতে পারত আবাহনী; কিন্তু আহমেদাবাদে শেষ দিকে আত্মঘাতী গোলে ২০১৯ এএফসি কাপ ম্যাচে হারায় চেন্নায়িন এফসির পেছনে পড়ে গেছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। ১৫ মে ঘরের মাঠে প্রতিশোধ নিতে পারলে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে যাবে আকাশি-হলুদরা। আজ সন্ধ্যায় ঢাকা পৌঁছবে ২০১৭-১৮ ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল) চ্যাম্পিয়নরা। তবে কাজটা খুবই কঠিন। কেননা দুইবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দলে তিন ব্রাজিলিয়ান ছাড়াও আছেন নেদারল্যান্ডস ও স্প্যানিশ মিডফিল্ডার, এশিয়ান কোটায় আছেন ফিলিস্তিন জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড কার্লোস সালোম।
ভারতীয় সুপার স্টার নায়ক অভিষেক বচ্চন, ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনীদের চেন্নায়িনের কাছে অ্যাওয়ে ম্যাচ হারলেও দলীয় নৈপুণ্যে সন্তুষ্ট আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস। কোচের চোখে, ‘টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। ৩ ম্যাচ শেষে গ্রুপের শীর্ষে চেন্নায়িন (৭), আবাহনী (৪) দুইয়ে। এরপর ভারতের পাঞ্জাব মিনার্ভা (৩) ও নেপালের মানাং মারসিয়াংন্দি। বিষয় আবাহনীর পরের ৩ ম্যাচের ২টিই নিজেদের মাঠে। স্ব^াগতিক সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে অর্জনের পরিধিটা আরও বাড়বে আকাশি-হলুদদের। সম্ভাবনার পালে হাওয়া লাগিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের ফিরতি পর্ব জয় দিয়ে শুরু করে। প্রতিপক্ষ নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবকে তাদের মাঠ নোয়াখালীতে ২-০ গোলে হারিয়ে। গোল পেয়েছেন দুই ফরোয়ার্ড সানডে ও জীবন।
ভিসা জটিলতা কাটিয়ে শেষ মুহূর্তে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে। চোটে খেলতে পারবেন না দুই ডিফেন্ডার তপু-বাদশা। চেন্নাইয়ে মারিনা মাচানদের বিপক্ষে খর্ব শক্তির একাদশ খেলে আবাহনীর, ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের মুখ না দেখলেও খেলায় নিয়ন্ত্রণ ছিল ঢাকার ক্লাবটিরই। তাই হতাশার মাঝেও নতুন করে আশার আলো খুঁজে পাচ্ছেন কোচ মারিও লেমোস। পুরোদমে অনুশীলন করছে দল। কোচ জানান, ‘কিকঅফের ২ ঘণ্টা আগে সানডে দলের সাথে যোগ দিয়েছিল, ৯ ঘণ্টা ভ্রমণের পর তার কাছে শতভাগ আশা করাটা বোকামি। তারপরও ছেলেরা ভালো খেলেছে, ভালো আক্রমণ করেছি ঘাটতি ছিল ফিনিশিংয়ে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও ম্যাচ নাগালের বাইরে ছিল না। জিততে না পারলেও ছেলেদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। পরের ম্যাচগুলোয় এটা পার্থক্য গড়ে দেবে।’ সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার দায়িত্ব এখন আকাশি-হলুদ ফুটবলারদের। দেখা যাক তারা চ্যালেঞ্জ কতটা নিতে পারেন।
এএফসি কাপের নৈপুণ্য এ পর্যন্ত যা-ই হোক, এশিয়ার ফুটবল উঠানে দারুণ উন্নতি হয়েছে আবাহনীর! এশিয়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে গেল বছর ১৩৭তম স্থানে ছিল ছয়বারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা, এবছর ২৮ ধাপ এগিয়ে আছে ১০৯ নম্বরে। ২০১৮ সালে ৫.৫৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ১৩৭তম অবস্থানে ছিল এশিয়ায়। এ বছর এরই মধ্যে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন ও স্বাধীনতা কাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত ওঠায় রেটিং পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৮.৬১। রেটিং পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় ২৮ ধাপ এগিয়ে ১০৯ নম্বরে চলে এসেছে আবাহনী। এএফসি কাপে ভালো করলে থাকবে এশিয়ার ক্লাব র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।