আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
| শেষ পাতা

দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোয় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রোববার দুপুর ১২টায় ঢাকা শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তবে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পরই শিক্ষার্থীরা অনলাইন এবং এসএমএসে আবেদন শুরু করেন।
ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, ২৩ মে পর্যন্ত পর্যন্ত অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ চলবে। আর জুন মাসের মধ্যে ভর্তির কাজ শেষ করে ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু হবে। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন। আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে উত্তীর্ণরা একাদশে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। অনলাইনের www.xiclassadmission.gov.bd) পাশাপাশি টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএস করে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করা যাবে। ১০ জুন প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ১১ থেকে ১৮ জুন সিলেকশন নিশ্চিত (যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন, তা এসএমএসে নিশ্চিত করা) করতে হবে। নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৯ থেকে ২০ জুন এবং তৃতীয় পর্যায় গ্রহণ করা হবে ২৪ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ের ফল ২১ জুন এবং তৃতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে ২৫ জুন। দ্বিতীয় পর্যায়ে তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা ২২ ও ২৩ জুন সিলেকশন নিশ্চিত এবং তৃতীয় পর্যায়ে তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ২৬ জুন সিলেকশন নিশ্চিত করবেন। নিশ্চিত না করলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। আগামী ২৭ থেকে ৩০ জুন শিক্ষার্থীদের ভর্তি শেষে ১ জুলাই ক্লাস শুরু হবে।
অনলাইনে ১৫০ টাকা ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করা যাবে। প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি দিয়ে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইন ও এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।