আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

‘বন্দুকযুদ্ধে’ ধর্ষণের আসামি নিহত

মেহেরপুর প্রতিনিধি
| খবর

 

মেহেরপুরের গাংনীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ মামলার আসামি ইয়াকুব আলী কাজল (২৩) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের একটি বাঁশবাগানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাজল গাড়াডোব গ্রামের জালাল উদ্দীন হাবুর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
গাংনী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, পুলিশের কাছে স্বাীকরোক্তিতে ধর্ষণ ও এসিড নিক্ষেপের অপরাধ স্বীকার করে কাজল। তার নেতৃত্বে গাড়াডোব গ্রামের বেশ কয়েক যুবক বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত। তাদের কাছে রয়েছে বেশ কয়েকটি অস্ত্র। কাজলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক অস্ত্র উদ্ধারে গাড়াডোব গ্রামে যায় পুলিশের একটি দল। এ সময় কাজলের দলের লোকজন পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে গোলাগুলি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থল থেকে কাজলকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হন। তিনি জানান, গেল বছর ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাড়াডোব গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে বাজার থেকে ফেরার পথে অপহরণপূর্বক গণধর্ষণ করে কাজলসহ কয়েকজন। ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি হলো ইয়াকুব হোসেন কাজল। ঘটনার পর ধলা গ্রামের দূরসম্পর্কের ভগ্নিপতি সেলিম হোসেনের বাড়িতে আত্মগোপন করে কাজল। ওই সময় ধলা গ্রামের এক গৃহবধূর দিকে কুনজর পড়ে কাজলের। প্রেমের প্রস্তাব দিলে গৃহবধূ তা প্রত্যাখ্যান করেন। এর জেরে বৃহস্পতিবার গৃহবধূ পুকুরে যাওয়ার সময় তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে কাজল। ওই ঘটনায় শুক্রবার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলে ধর্ষণ মামলার আসামি হিসেবে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়। এসিড সন্ত্রাসে শিকার গৃহবধূ গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।