আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

আলোচনা সভায় বক্তারা

এসডিজি অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা জরুরি

| খবর

রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের সভা কক্ষে শনিবার  বেলা ১১টায় ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, এসডিজি অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা জরুরি। শিশুদের রক্ষা করতে আইনের সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪০ সালে তামাকমুক্ত করতে এসডিজির ২০৩০-এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। 
অনুষ্ঠানের আলোচ্য বিষয় উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব অ্যান্ড গবেষণার প্রধান অধ্যাপক ড. সোহেল রেজা চৌধুরী, ভয়েস এর হেড অব প্রোগ্রাম আজমল হোসেন, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স এর গ্রান্ডস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিঞা, নাটাবের নির্বাহী পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটির খন্দকার রিয়াজ, বাংলা ট্রিবিউনের বিজনেস ইন চার্জ শফিকুল ইসলাম, নাগরিক টেলিভিশনের চিফ রিপোর্টার শাহনাজ শারমিন, জাতীয় তামাকবিরোধী প্লাটফর্মের সমন্বয়কারী ডা. মাহফুজুর রহমান ভূঞা ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ, সুপ্র, টিসিআরসিসহ তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা ও স্বাস্থ্য সেক্টরের বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মীরা। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য দেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেড অব প্রোগ্রাম জি এফ হামীম। উল্লেখ্য, এসডিজির যে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা এবং ১৬৯টি প্রতিশ্রুতি পূরণের কথা বলা হয়েছে, তার সবগুলোই তামাকের দ্বারা ব্যাহত হচ্ছে। যেমন- লক্ষ্যমাত্রা ১ (দারিদ্র বিমোচন), কিন্তু তামাক ব্যবহার ও তামাক ব্যবহারজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যয়ের কারণে দারিদ্র পরিবার আরও দরিদ্র হয়ে পড়ছে। এভাবে চললে লক্ষ্যমাত্রা ১ পূরণ অসম্ভব। লক্ষ্যমাত্রা ২ (খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষি), ফসলি জমিতে দিন দিন যেভাবে তামাক চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে। লক্ষ্যমাত্রা ৪ ও ৫ (মানসম্মত শিক্ষা ও সমতা), তামাক উৎপাদন ও প্রস্তুতকরণের সঙ্গে বেশির ভাগ শিশু জড়িত। তামাক কোম্পানিগুলোতে গেলে দেখতে পাবেন পুরুষের তুলনায় শিশু ও নারীর সংখ্যা বেশি। শিশুরা তাদের স্কুল বাদ দিয়ে এ কাজে লিপ্ত হচ্ছে। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাচ্ছে না শিক্ষা লাভের সুযোগ। আর পরোক্ষ ধুমপানে নারী ও শিশুরা বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এ বিপুল বৈষম্য টিকিয়ে রেখে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ ছাড়াও তামাক ব্যবহারের কারণে কর্মক্ষম মানুষের বিরাট অংশ অকাল মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের শিকার হন যা দেশের (লক্ষ্যমাত্রা ৮) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করছে। এভাবে প্রায় সবই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যাহত করছে এ তামাক। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে এফসিটিসি বাস্তবায়ন অপরিহার্য। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অঙ্গীকারাবদ্ধ। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে এমন ঘোষণা দিয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি