আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১২-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

হবিগঞ্জে ২১০ প্রাথমিক বিদ্যালয়

মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ
| দেশ

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার হারুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন- আলোকিত বাংলাদেশ

হবিগঞ্জ জেলার ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। জেলার হাওর এলাকায় সবচেয়ে বেশি স্কুলের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে অনেক স্কুলের ভবন পাঠদানের অনুপযোগী হলেও বিকল্প না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এসব স্কুলে পাঠদান চলছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে শ্রেণিকক্ষে। দেওয়ালে ফাটল, ইট-সুরকি খসে পড়া, দরজা-জানালাবিহীন এসব ভবনে দিনের পর দিন চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে ভবন নির্মাণ ও মেরামতের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। সরেজমিন বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের হারুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায়, ভবনটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফাটল। শ্রেণিকক্ষের ছাদের ভিম, ইট-সুরকি খসে পড়ে জং ধরা রড বেরিয়ে পড়েছে। দরজা, জানালা ভাঙ্গা। স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছেন, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এখানেই ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মাঝে ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মাঝে হাওর অঞ্চলের বানিয়াচং উপজেলায় সর্বোচ্চ ৬৩টি, আজমিরীগঞ্জে ১১টি, বাহুবলে ২৪টি, নবীগঞ্জে ২২টি, মাধবপুরে ৪০টি, লাখাই উপজেলায় ৯টি, চুনারুঘাট উপজেলায় ৪০টি এবং হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ১টি স্কুলের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, জেলার ২১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা প্রণয়ন করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আরও কয়েকটি স্কুলের ভবন ঝুঁকির্পণ হলেও তালিকায় আসেনি। কয়েকদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুল হালিম ভূঁইয়াকে নিয়ে বেশ কিছু স্কুল পরিদর্শন করেছি। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করতে নিষেধ করেছি। সরকার ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলে নতুন ভবন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এরই মধ্যে ২০৭টি স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।