৯৮ পয়েন্ট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি, আগামী চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাও নিশ্চিত হয়েছে আগে। কিন্তু আগামী মৌসুমে ইউরোপ সেরা ক্লাব হওয়ার টুর্নামেন্টে নাও দেখা যেতে পারে ম্যানসিটিকে! সিটিজেনদের অর্থনৈতিক জালিয়াতির ব্যাপারে তদন্ত করছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের গভর্নিং সংস্থা। অভিযোগ প্রমাণ হলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে নিষিদ্ধ হতে পারে সিটি। শুধু তাই নয়, এক মৌসুমের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারে প্রিমিয়ার লিগেও! উয়েফার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেস লেতের্মের তত্ত্বাবধানে কয়েকদিনের মধ্যেই সিটির আর্থিক লেনদেনের হিসাবের রিপোর্ট দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ইউরোপিয়ান ফুটবলের গভর্নিং কমিটি প্রধান ইউভেস লেরেন্তে জার্মান পত্রিকা ডের স্পাইগেলকে জানান, ‘যা লেখা হয়েছে, সেটা তদন্তে সত্যি প্রমাণ হলে বড় বিপদ আসতে পারে সিটির জন্য।’ হতে পারে প্রিমিয়ার লিগ থেকে এক মৌসুম নিষিদ্ধ করা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগও খেলতে পারবে না পেপ গার্দিওলার দল। সেক্ষেত্রে কপাল খুলে যেতে পারে পঞ্চম স্থানে থেকে লিগ শেষ করা আর্সেনালের।
মূলত ‘ফুটবল লিকস’র প্রতিবেদনে সিটির আর্থিক অসংগতির কথা উঠে আসার পর থেকে চাপে ছিল ইউরোপের অন্যতম ধনী ক্লাবটি। গত মার্চে উয়েফার ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার-প্লে আইন না মানায় অভিযুক্ত হয়েছিল তারা, এবার মৌসুম শেষ হওয়ায় বড় পরিসরে হতে যাচ্ছে তদন্ত। যেখানে সিটির মালিক আরব আমিরাতের অন্যতম ধনী শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের বিরুদ্ধেও নেওয়া হতে পারে আইনি পদক্ষেপ। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্লাবের সম্মান নষ্ট করতে এসব কথা ছড়ানো হচ্ছে। এসব গোপন তথ্য হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যারা ছাপিয়েছে, তাদের ব্যাপারে কোনো আলোচনাও করতে ইচ্ছুক নন তারা। সিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৫ সালে মালিকদের থেকে সরাসরি ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড নিয়েছিল। কাগজে-কলমে দেখানো হয় স্পন্সরশিপ হিসেবে; গত বছর রিয়াদ মাহরেজের ৬০ মিলিয়ন পাউন্ডের ট্রান্সফার ফিয়ের উৎস নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ২০১৪ সালে এফএফপির নিয়ম ভেঙে প্রায় ১৮৮ মিলিয়ন ইউরো বেশি খরচ করেছিলÑ বলা হয় নিউইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত রিপোর্টে। ২০১৪ সালে ৬০ মিলিয়ন ইউরো জালিয়াতির কারণে শাস্তি পেতে হয়েছিল সিটিকে। এবারও শাস্তি পেতে হয় কি না সিটিকে, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশ কিছুদিন।