ত্রিদেশীয় সিরিজ
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড
সরাসরি, বিকাল পৌনে ৪টা
(গাজী টিভি ও মাছরাঙা টিভি)
যে কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলা মানেই যেকোনো দলের জন্যই বড় প্রাপ্তি। কিন্তু এ জায়গায় পৌঁছে বারবার বাংলাদেশের পুড়েছে হৃদয়। তাই তো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠেও এখনই ট্রফির স্বপ্নে বিভোর হচ্ছে না টিম টাইগার্স। অন্তত এমনটাই ফুটে উঠেছে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার কথায়।
ওয়ানডেতে এটি ‘বাংলাদেশের পঞ্চম ফাইনাল। দুটি আছে টি- টোয়েন্টিতেও। কিন্তু কোনো মঞ্চেই ট্রফি নিয়ে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে আবার তিনটি ফাইনালে শেষ বলে হেরেছে বাংলাদেশ, দুটিতে হেরেছে শেষের আগে ওভারে। যে কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজে উঠেও রোমাঞ্চ এখনই ছুঁয়ে যাচ্ছে না বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
ফাইনাল মানেই কোনো ট্রফির জয়ের বড় সুযোগ। কিন্তু বারবার স্বপ্নের মৃত্যুর পর এবার আরেকটি ফাইনালে উঠেও বাংলাদেশ অধিনায়ক ভীষণ সাবধানী, ‘ফাইনাল নিয়ে আমার কোনো ফাইনাল কথা নেই। অনেক কথা হয়েছে আগে, অনেক অভিজ্ঞতা পেয়েছি। সেগুলো সুখকর ছিল না। এবারও যে কোনো কিছুই হতে পারে। আরেকবার সুযোগ এসেছে, আমরা আবারও চেষ্টা করব।’ এখনও একের অধিক দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা ছোঁয়া হয়নি বাংলাদেশের। তবে এবার বিশ্বকাপের আগে সেই না পাওয়া শিরোপা ছুঁতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে বাংলাদেশের। এমনটাই মনে করেন মাশরাফি, ‘ট্রফি জিততে পারলে অবশ্যই ভালো লাগবে। আগে কখনও জিতিনি আমরা। তবে শুধু সেটিই নয়, বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা ইংল্যান্ড যেতে পারব।’
আগামী শুক্রবার এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে লড়বে টিম বাংলাদেশ। এর আগে এ টুর্নামেন্টের লিগ পর্বের দুই ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা। তাই তো এবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বেশ এগিয়েই থাকবে মাশরাফির দল। তারপরও অবশ্য স্টিভ রোডস শিষ্যদের কিছুটা হলেও চিন্তায় ফেলেছে অতীত স্মৃতি। এখন দেখার বিষয় সেটাকে কীভাবে জয় করেন সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালরা। এদিকে সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করার পর বিশ্রাম নেই টাইগারদের। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রাউন্ড রবিন লিগের ফিরতি ম্যাচ উপলক্ষে গতকাল অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছে বাংলাদেশ দল। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, আইরিশদের বিপক্ষে ম্যাচে টাইগার দলে একাধিক পরিবর্তন আসছে। স্কোয়াডে চার-পাঁচজন ক্রিকেটার আছেন, যারা এখনও এক ম্যাচেও সুযোগ পাননি। নিয়মরক্ষার ম্যাচে তাদের সুযোগ দিতে আগ্রহী টিম ম্যানেজমেন্ট। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক ও ম্যানেজার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে চাঙ্গা, ফুরফুরে ও আত্মবিশ্বাসী রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করছি। ফাইনালেও যাতে দল সামর্থ্যরে সেরাটা উপহার দিতে পারে, সে চেষ্টাই করা হচ্ছে।’ প্রধান নির্বাচক ও ম্যানেজার আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা তিনজনকে কালকের (আজ) ম্যাচে দলভুক্ত করার চিন্তা করছি। তারা হলো লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন এবং রুবেল হোসেন। এই তিনজনের আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সম্ভাবনা খুব বেশি।’ তবে কাদের পরিবর্তে এই তিনজনকে খেলানো হবে তা ঠিক হয়নি। সেটা গতকাল দলের টিম মিটিংয়ের পর ঠিক করা হবে।