জুন থেকে সিঙ্গাপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথমে একহাজার প্রবাসীকে পরীক্ষামূলক ভোটার করা হবে। পরে পর্যায়ক্রমে সব প্রবাসীকে ভোটার করবে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।
ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রবাসীদের ভোটার করতে প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমে সিঙ্গাপুরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করব। পর্যায়ক্রমে অন্য দেশেও ভোটার করা হবে। তিনি বলেন, জুনে সিঙ্গাপুরে এক হাজার প্রবাসীকে পরীক্ষামূলক ভোটার করা হবে। যারা আগে আসবেন তাদের আগে ভোটার করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম এক হাজারজনকে আগে ভোটার করা হবে। এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে। সচিব বলেন, আমরা এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ঈদের (ঈদুল ফিতর) পর পর আমরা একটা টিম পাঠাব।
এদিকে ইসি কর্মকর্তারা জানান, সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্য দিয়ে বিদেশিদের ভোটারকরণ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। জুনের শেষভাগে ইসির একটি টিম সিঙ্গাপুরে যাবে। সেখানে অ্যাম্বাসিতে প্রবাসীদের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সেই তথ্য অ্যাম্বাসিতে সংরক্ষণ করা হবে। পরবর্তীতে তথ্য যাচাই করে তাদের ভোটার করা হবে। দেশে না ফিরে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানা সমস্যা ও হয়রানির মুখে পড়তে হয়।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পর তখনকার নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্য প্রবাসীদের ভোটার করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বিদেশ সফর করেন। ২০১০ সালে ভোটার তালিকা আইন সংশোধন করা হয়, যাতে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি সুযোগ তৈরী হয়। এরপরেও আট বছর পেরিয়ে গেলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের এপ্রিলে ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটাধিকার প্রয়োগ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ভোটার করা ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের সুপারিশ আসে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সপ্তদশ সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ৩ মার্চ ইসি সচিবের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল সিঙ্গাপুর সফর করে।